Title :‘ভারতের হারানো শিকড় ও শিক্ষার খোঁজে’।“
👉 যেখানে প্রতিটি পর্ব একেকটা নতুন প্রশ্ন ছুঁড়ে দেবে।
🎙️ বন্ধুরা,
📍 আজ আমরা এক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং জ্বলন্ত বিষয়ে কথা বলব —
🎓 ভারতের শিক্ষা ব্যবস্থা
🧠 একটি প্রশ্ন, যা হয়তো আপনার মনেও বহুবার এসেছে —
❓ যদি ব্রিটিশরা ভারতে না আসত, তাহলে কি আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা উন্নত, আধুনিক এবং আপডেটেড হতো না?
🌱 আমরা কি নিজেদের জ্ঞান, শক্তি ও মেধা দিয়েই আধুনিক শিক্ষার পথ তৈরি করতে পারতাম না?
🙏 তাহলে প্রশ্ন উঠবেই —
📜 ব্রিটিশ শাসনের আগে আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা কেমন ছিল?
💣 আর কেনই বা ব্রিটিশরা আমাদের সেই সমৃদ্ধ শিক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস করল?
📚 ব্রিটিশ শাসনের সময় ভারতের প্রাচীন শিক্ষা ব্যবস্থার কী হল?
🧐 এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ — কেন এমনটা ঘটল?
🤔 তাদের নিজস্ব শিক্ষা ব্যবস্থা আমাদের উপর চাপিয়ে দিল কেন?
📌 আজ আমরা কোথায় দাঁড়িয়ে আছি?
🔍 কেন আজও আমরা সহজভাবে প্রশ্ন তুলতে পারি না?
🤐 কেন সাহস করে জিজ্ঞাসা করতে পারি না?
📱 শুধু ফোন স্ক্রল করি, 🎧 কনটেন্ট শুনি, কিন্তু ❌ প্রশ্ন করি না!
🤯 কেন আমরা চিন্তা করি না? চ্যালেঞ্জ করি না? Imagine করি না, Invent করি না?
🚫 কে আমাদের শেখাল —
❌ “প্রশ্ন করা মানেই বেয়াদবি”?
❌ “চুপ থাকাই শান্তি, আর প্রশ্ন মানেই বিপদ”?
🧠 কেন আমরা চোখ খুলি, কিন্তু মন খুলি না?
📖 আমরা পড়ি, শিখি, দেখি — কিন্তু জিজ্ঞাসা করি না!
📦 আমরা কি আজও সেই পুরনো ব্রিটিশ চাপিয়ে দেওয়া শিক্ষা ব্যবস্থা ও ধারণাগুলো বয়ে বেড়াচ্ছি?
🌐 আধুনিক যুগে এই শিক্ষা ব্যবস্থা কি ভারতের জন্য উপকারী?
⛓️ নাকি এটি আমাদের চিন্তা করার ক্ষমতাকে বন্ধ করে দিচ্ছে?
📖 আমাদের ইতিহাস কী বলে?
🔥 এই প্রশ্নগুলো কোনও সাধারণ প্রশ্ন নয়,
এগুলো মন কাঁপানো প্রশ্ন —
জেগে ওঠার ডাক! 🛎️
📢 এই সমস্ত জ্বলন্ত ও গভীর ভাবনার প্রশ্ন নিয়ে,
আমরা নিয়ে আসছি এক নতুন ধারাবাহিক সিরিজ —
🎓 ‘ভারতের হারানো শিকড় ও শিক্ষার খোঁজে’ 📚🌿
👉 যেখানে প্রতিটি পর্ব একেকটি নতুন প্রশ্নের দরজা খুলে দেবে —
💥 প্রশ্ন, যা মনকে কাঁপাবে…
🪔 প্রশ্ন, যা শিকড়ের কাছে পৌঁছে দেবে…
🔁 প্রশ্ন, যা নতুন করে ভাবতে বাধ্য করবে…
🎯 এই সিরিজ কোনো সাধারণ আলোচনা নয় — এটি এক অভ্যন্তরীণ জাগরণ।
⚡ এটি একটি মানসিক বিপ্লব, যা আমাদের শিক্ষা, সংস্কৃতি, আর আত্মপরিচয়ের গভীরে প্রবেশ করবে।
✨ তাহলে, এই অন্তর্জাগরণের যাত্রায় আমাদের সঙ্গে থাকুন।
🙏 কারণ এই পথ শুধু জ্ঞানের নয়, আত্ম–অনুসন্ধানের।
🌄 জেগে উঠুন, 🗣️ প্রশ্ন করুন, 🌳 শিকড়ে ফিরে চলুন! 🔥
❓ যদি ব্রিটিশরা ভারতে না আসত, তাহলে কি আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা উন্নত, আধুনিক এবং আপডেটেড হতো না?
🌱 আমরা কি নিজেদের জ্ঞান, শক্তি ও মেধা দিয়েই আধুনিক শিক্ষার পথ তৈরি করতে পারতাম না?
📜 ব্রিটিশ শাসনের আগে আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা কেমন ছিল?
এই জ্বলন্ত প্রশ্নগুলোর উত্তর খুঁজতে গিয়ে,
একজন মানুষ নিজের গোটা জীবন উৎসর্গ করে দিয়েছিলেন!
💔 এটা শুধু একটা মানুষের গল্প নয়…
🎞️ এটা একটা জাতির স্মৃতির গল্প…
একটা দমিয়ে রাখা সত্যর গল্প…
আর সেই সত্যকে জাগিয়ে তুলেছিলেন একজন সাধক —
👨🏫 নাম – অধ্যাপক ধর্মপাল Dharampaul।
🗓️ ১৯৪৭ সালের ১৫ই আগস্ট – ভারত পেল স্বাধীনতা।
তখন ধর্মপাল ছিলেন এক তরুণ বিপ্লবী, যিনি গান্ধীজির সাথে ‘ভারত ছাড়ো আন্দোলন’-এ লড়াই করেছিলেন।
কিন্তু স্বাধীনতার পর তাঁর মনে জাগল একটাই প্রশ্ন —
🔍 “দেশ তো স্বাধীন হল… সরকারও এল… কিন্তু আমার কাজ কী?”
🎯 তখনই গান্ধীজির মুখে এল এক ঐতিহাসিক অনুরোধ —
🗣️
“১৯৩১ সালে আমি লন্ডনে গিয়েছিলাম গোলটেবিল সম্মেলনে।”Round Table Conference”

সেখানে ব্রিটিশ অফিসাররা আমাকে বলেছিল —
‘If Britishers had not come to India, you wouldn’t have any education system at all!’
“যদি ব্রিটিশরা ভারতে না আসত, তাহলে তোমাদের কোনো শিক্ষাব্যবস্থা-ই থাকত না!”
তারা বলল — আমরা নাকি ভারতের শিক্ষা ব্যবস্থা গড়ে দিয়েছি।
আমি তাদের বলেছিলাম — ‘না! তোমরা যা ভাবছ, তা সত্য নয়!
ভারত একসময় জ্ঞান ও দর্শনের এক মহাসাগর ছিল!আমি তখন অনেক কিছু বলেছিলাম আমাদের গৌরবময় শিক্ষা ব্যবস্থা, তার সৌন্দর্য, তার গভীরতা নিয়ে…
কিন্তু কেউ শোনেনি…
কারণ আমার কাছে তখন কোনো প্রমাণ ছিল না।
এভিডেন্স ছাড়া তারা কিছুই মানতে চায় না।
তারা আমাকে অপমান করেছিল…
আমার আত্মসম্মানকে আঘাত করেছিল…
এই অপমান আমি কোনোদিন ভুলতে পারি না!
🙏 ধর্মপাল…
আমি চাই তুমি সেই প্রমাণ খুঁজে বের করো।
দেখিয়ে দাও,সারা পৃথিবীকে, ব্রিটিশ আসার অনেক আগেই ভারত ছিল জ্ঞানের এক বিশাল সমুদ্র!
ভারত ছিল ‘জগতগুরু’ — শিক্ষা ও জ্ঞানের প্রদীপ, যা আলোকিত করত সারা বিশ্বকে।
🔥 সেই মুহূর্তে, গান্ধীজির এই আহ্বানটাই হয়ে উঠল ধর্মপালের জীবনের
👉 ধর্ম!
👉 মন্ত্র!
👉 মিশন!
🌍 তিনি পেছনে ফেলে দিলেন নিজের দেশ…
✈️ চলে গেলেন লন্ডনে…
📚 তারপর ঘুরে বেড়ালেন ফ্রান্স, জার্মানি, ইউরোপের প্রতিটি গ্রন্থাগার, আর্কাইভ, আর অজ্ঞাত সংগ্রহশালা…
⏳ ৪০ বছর ধরে,
তিনি একটাই কাজ করে গেলেন —
🔍 প্রামাণ্য দলিল খোঁজা…
📖 ভারতের হারিয়ে যাওয়া শিক্ষা, সংস্কৃতি ও সভ্যতার গৌরবময় ইতিহাস খোঁজা…
💡 সেই প্রমাণ দিয়ে বিশ্বকে দেখিয়ে দেওয়া —
ভারত কখনওই অজ্ঞানের দেশ ছিল না! ভারত ছিল জ্ঞানভাণ্ডার!
😮 কিন্তু এখানেই তো সবচেয়ে বড় প্রশ্নটা উঠে আসে…
🔍 অধ্যাপক ধর্মপাল কেন গেলেন ইউরোপে?
✈️ কেন গেলেন লন্ডনে?
📚 কেন তিনি বছরের পর বছর ঘুরে বেড়ালেন —
ফ্রান্স, জার্মানি, ইংল্যান্ড, আর ইউরোপের একেকটা
📖 প্রাচীন গ্রন্থাগার, 🗃️ আর্কাইভ,
📦 ধুলো জমা সংগ্রহশালা?
❓ কেন তিনি ভারতে খোঁজ করলেন না?
🏡 কেন তাঁর জীবনটা ভারতেই না কাটিয়ে,
তিনি পরবর্তী ৪০টা বছর কাটালেন বিদেশে –
😔 একা, নিঃশব্দে,
📜 শুধু প্রমাণের খোঁজে?
🧭 কারণ সত্য লুকিয়ে ছিল কোথায় জানেন?
ভারতে নয়…
👉 সত্য লুকিয়ে ছিল লন্ডনের ব্রিটিশ লাইব্রেরির ভেতর,
📂 ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির রিপোর্টে,
🗄️ কলোনিয়াল অফিসের পাণ্ডুলিপিতে,
আর সেইসব গোপন নথিপত্রে,
যা ছিল শুধু ইউরোপের পুরনো লাইব্রেরিগুলিতে সুরক্ষিত!
ভারতবর্ষের ইতিহাসকে যারা নষ্ট করেছিল,
তারা কিন্তু তার প্রমাণ লুকিয়ে রেখে দিয়েছিল নিজেদের দেশেই।
যেখানে লেখা ছিল, কেমন ছিল ভারত ব্রিটিশ আসার আগেই…
তাই অধ্যাপক ধর্মপাল বুঝেছিলেন —
যদি সত্যকে খুঁজে আনতেই হয়,
তাহলে যেতে হবে শত্রুর ঘরেই…
তাদের লেখা থেকেই তুলে আনতে হবে ভারতের আসল চিত্র — যে চিত্রকে তারা চিরকাল লুকিয়ে রাখতে চেয়েছে।
তাই অধ্যাপক ধর্মপালের কাছে একটাই রাস্তা খোলা ছিল —
👉 প্রমাণ খুঁজতে হলে, শত্রুর ঘরেই ঢুকতে হবে! 🏰
🧠 Point 2: আমাদের কাছে ‘Think on Paper’-এর অভ্যাস নেই… আমরা কেবল ‘বলতে’ জানি, লিখতে না।
✍️ আমরা নথি তৈরি করি না…
আমরা ইতিহাস লিখি না…
আমরা শুধু বলি… শুনি… মনে রাখি… আর হারিয়ে ফেলি।
🔔 এর শিকড় লুকিয়ে আছে আমাদের প্রাচীন জ্ঞানচর্চার রীতিতে —
📜 উপনিষদ — যার অর্থই হলো —
“উপ + নিঃ + সদ্” — অর্থাৎ, গুরু-শিষ্যের পাশে বসে শ্রবণ করা।
🙏 শুনেই শিখতে হয়, মনে রেখে তা পালন করতে হয়।
📖 আমাদের সংস্কৃতি বলত —
“শ্রবণ, মনন, ও নিরিধ্যাস” —
❌ কাগজে নয়,
✅ মনের পাতায় লেখা হতো জ্ঞান!
🎧 তাই হাজার হাজার বছর ধরে ভারতীয়রা লিখে নয়, মুখে মুখে
📚 শ্রুতি আর স্মৃতির মাধ্যমে জ্ঞান বহন করতেন।
😔 ফলস্বরূপ, আমরা যা জানতাম, তা লেখা হলো না।
🕳️ আর যখন ব্রিটিশরা এলো, তারা বলল Gandhji ke during Round Table Conference —
“Where is the proof? Where is the record?”
আর আমরা /Gandhiji নিরব রইলাম… কারণ আমাদের কাছে ছিল না লিখিত দলিল।
📌 আর ঠিক এই জায়গাটাতেই ধর্মপাল বুঝেছিলেন —
👉 আমাদের সত্য আছে, কিন্তু নথি নেই।
👉 আমাদের জ্ঞানের ভাণ্ডার আছে, কিন্তু ডকুমেন্টেশনের অভ্যাস নেই।
💥 তাই তিনি পাড়ি দিলেন সেই জায়গায় —
যেখানে আমাদের কথা অন্যরা লিখে রেখেছিল,
📁 ব্রিটিশ অফিসার, মিশনারি, ইউরোপীয় পর্যটক, এবং নানা দেশের ইতিহাসবিদ —
যারা এসেছিল আমাদের মাটি দেখতে,
কিন্তু রেখে গিয়েছিল আমাদের সভ্যতা, বিদ্যালয়, পাঠশালা, সমাজব্যবস্থার অমূল্য বিবরণ!
😔 দুর্ভাগ্যজনকভাবে…
আমরা নিজেরা যা লিখে রাখিনি,
তাই আজ আমাদের অতীত জানার জন্য — শত্রুর নথিকেই অবলম্বন করতে হয়!
📌 আর এই নথিগুলোর খোঁজেই —
ধর্মপাল ঘুরে বেড়ালেন গ্রন্থাগার থেকে আর্কাইভে, শহর থেকে দেশে, লন্ডন থেকে প্যারিস, বার্লিন থেকে রোম…
📖 কারণ এই দলিলগুলিই প্রমাণ করবে —
ভারত ছিল গৌরবের দেশ!
ভারত ছিল শিক্ষার পর্বতশৃঙ্গ!
ভারত ছিল জ্ঞানের ‘জগৎগুরু’! 🌏🔥
🔺 Point 3: আমরা যতটুকু লিখেও রেখেছিলাম, তাও কেউ কেউ পুড়িয়ে দিয়েছিল! 😢📚🔥
📜 হ্যাঁ… আমরা শুধু লিখিনি এমন নয় —
আমরা লিখেছিলামও, সংরক্ষণ করেছিলাম…
❗ কিন্তু ইতিহাস সাক্ষী — অনেক শাসকই আমাদের এই জ্ঞানের আলয় পুড়িয়ে ছারখার করে দিয়েছিল।
💔 তার সবচেয়ে মর্মান্তিক উদাহরণ —
🏛️ নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয় — বিশ্বের অন্যতম প্রাচীন ও শ্রেষ্ঠ বিদ্যাপীঠ।
🌐 যেখানে ১০ হাজারেরও বেশি ছাত্র পড়ত,
📚 যেখানে ছিল ৯ মিলিয়নের বেশি পান্ডুলিপি, গ্রন্থ, গবেষণা, দর্শন ও বিজ্ঞানভিত্তিক রচনা…
🔥 কিন্তু এক রাতেই —
⛓️ ১১৯৩ সালে, তুর্কি সেনাপতি মুহাম্মদ বিন বখতিয়ার খিলজি
সেই জ্ঞানসাগরকে আগুনে পুড়িয়ে দিল!
🕯️ কাগজ, গ্রন্থ, পুঁথি, জ্ঞান —
সব জ্বলে ছাই হয়ে গেল…
এত বই ছিল যে —
ছয় মাস ধরে আগুন জ্বলেছিল! 🔥🔥🔥
😢 কল্পনা করুন —
যেখানে একদিন পৃথিবীর ছাত্ররা আসত শিখতে,
সেই জায়গাটাই জ্ঞানহীনতার ছাইয়ে ঢাকা হয়ে গেল।
📌 আমরা যতটুকু লিখে রেখেছিলাম,
তাও ইতিহাসের শত্রুরা ধ্বংস করেছে পরিকল্পিতভাবে।
কারণ তারা জানত —
👉 যে জাতির অতীত থাকে না, তার ভবিষ্যৎও থাকে না।
🧠 এখন ভাবুন —
আমরা নিজেরা লিখলাম না,
যা লিখলাম, তা অনেক সময় পুড়িয়ে দেওয়া হল,
আর বাকি যা কিছু ছিল —
তা বিদেশিরা নিয়ে গেল, আর আজ তা পড়ে আমরা নিজেদের ইতিহাস জানতে চাই।
🎯 এই পয়েন্টটা আমাদের মনে করিয়ে দেয় —
শুধু শোনা বা ভাবলেই চলবে না — লিখতে হবে, বাঁচাতে হবে, সংরক্ষণ করতে হবে!
না হলে একদিন সব অস্তিত্ব হারাবে, কেবল ছাই পড়ে থাকবে…
📢 পরবর্তী পর্বে আমরা জানব —
“ধর্মপাল কী কী দলিল ও তথ্য তুলে এনেছিলেন, যা ভারতীয় শিক্ষা ব্যবস্থার গৌরবময় অতীতকে বিশ্বের সামনে তুলে ধরেছিল?”
ঠিক কীভাবে অধ্যাপক ধর্মপাল খুঁজে পেয়েছিলেন
📜 ভারতের গৌরবের সেই ‘Golden Days’-এর রত্নসম প্রমাণ,
✨ যা জাগিয়ে তুলেছিল এক ঘুমন্ত জাতিকে!🔥
💫 একজন মানুষের ৪০ বছরের অবিরাম তপস্যা…
না খ্যাতির জন্য,
না পুরস্কারের জন্য —
তাঁর লক্ষ্য ছিল একটাই —
🕯️ প্রমাণ করো —
ভারত কখনও অজ্ঞ ছিল না!
ভারত ছিল জ্ঞানের আলো!
ভারত ছিল ‘জগতগুরু’! 🌏📚
✈️ ধর্মপাল…তাই তিনি ভারত ছেড়ে চলে গেলেন লন্ডনে,
তারপর বছরের পর বছর ঘুরে বেড়ালেন সারা ইউরোপে —
ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি,ইউরোপের একেকটা দেশে…
⏳ ৪০ বছর ধরে পড়ালেন, উপার্জন করলেন…
কিন্তু তাঁর জীবনের একমাত্র উদ্দেশ্য ছিল —
📜 প্রমাণ খোঁজা!
👉 সেই দলিল, যা ব্রিটিশদের আগের ভারতের গৌরবকে বিশ্ববাসীর সামনে তুলে ধরবে!
📚 একে একে তিনি খুঁজে পেলেন হাজার হাজার পুরনো দলিল…
জমা করলেন অগণিত প্রমাণ…
🔍 আর বিশ্লেষণ করে একটাই জিনিস প্রমাণ করলেন —
📜 ব্রিটিশ শাসনের আগে ভারতের শিক্ষা ব্যবস্থা ছিল কতটা গৌরবময়, শৃঙ্খলাপূর্ণ ও গভীরভাবে বিজ্ঞানভিত্তিক!
💣 আর কেন ব্রিটিশরা পরিকল্পিতভাবে সেই শিক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস করে দিয়েছিল?
❓ কেন তারা আমাদের শিকড় কেটে ফেলার জন্য উঠেপড়ে লেগেছিল?
🤔 কেন নিজেদের শিক্ষা ব্যবস্থা আমাদের মাথার উপর চাপিয়ে দিল?
❓ কিন্তু এত অমূল্য প্রমাণ — তিনি পেলেন কোথায়?
বন্ধুরা…
লন্ডনে আছে এক গ্রন্থাগার —
🏛️ India House Library 📚

এক বিশাল আর্কাইভ —
যেখানে আজও রয়েছে ভারতের দাসত্বের ২০,০০০-এর বেশি আসল নথি! 📜🔐
যা আমাদের দেশেই নেই!
আমাদেরই ইতিহাস, আজ আমাদের চোখের আড়ালে…
😔 ভাবুন একবার…
আমাদের অতীত… আমাদের গর্ব…
আজও লন্ডনের গোপন র্যাকের ফাইলে শুয়ে আছে,
আর আমরা সেই ইতিহাস ভুলে শুধুই মুখস্থ করছি ব্রিটিশদের বানানো সিলেবাস!
🔥 বন্ধুরা,
অধ্যাপক ধর্মপাল একা এক অস্ত্রহীন যোদ্ধা…
তাঁর অস্ত্র ছিল — প্রেম, অধ্যবসায় আর অটল বিশ্বাস।
তিনি বুঝেছিলেন —
যদি জাতিকে জাগাতে হয়,
তবে আগে জাতির শিকড়কে চিনতে হবে!
📢 পরবর্তী পর্বে আমরা জানব —
ঠিক কী কী দলিল তিনি খুঁজে পেলেন, যা ইতিহাসকে উল্টে দিল!
📣 এই ইতিহাস জানতেই হবে!
❗ কারণ যারা নিজের অতীত জানে না — তারা ভবিষ্যৎ গড়তে পারে না।
📢 বন্ধুরা, শুনে অবাক হবেন —
যে সত্যটা ধর্মপাল তুলে এনেছিলেন…
যে গবেষণা ভারতের শিক্ষা ব্যবস্থার মূল স্তম্ভ খুলে দেখিয়েছিল…
সেটা করেছিলেন একজন ভারতীয় নয় —
❗ একজন ব্রিটিশ অফিসার!
নাম ছিল — উইলিয়াম অ্যাডাম
👉 প্রায় ৪০ বছর তিনি ভারতে ছিলেন…
👉 ছিলেন হাউস অফ লর্ডসের M.P,
👉 গভর্নর ও ভাইসরয়ের প্রধান পরামর্শদাতা,
👉 এমন একজন প্রভাবশালী ব্যক্তি, যার কথায় আইন বদলে যেত! ⚖️
💥 এত বড় প্রভাবশালী একজন সাহেব,
তিনি ভারতবর্ষের শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে যা লিখেছেন,
তা শুধু দলিল নয় —
🎯 একটা জাগরণ! একটা ধাক্কা! একটা প্রমাণ!
📖 তিনি তৈরি করেছিলেন এক বিশাল রিপোর্ট —
প্রায় ১৭৮০ পাতার রিসার্চ ডকুমেন্টেশন!
সেই রিপোর্টে ছিল:
✅ ভারতের স্কুল শিক্ষার পরিকাঠামো
✅ শিক্ষকের সংখ্যা ও মান
✅ ছাত্রদের উপস্থিতি
✅ পাঠ্যসূচির গঠন
✅ সমাজে শিক্ষার প্রসার
✅ হিন্দু-মুসলিম সকলের শিক্ষায় সমান অংশগ্রহণ
🎙️ আর জানেন কে ছিলেন এই উইলিয়াম অ্যাডামের অধীনস্থ কর্মচারী?
💣 লর্ড ম্যাকলে!
হ্যাঁ! সেই কুখ্যাত লর্ড ম্যাকলে

যার “Minutes on Indian Education” ভারতের হাজার বছরের শিক্ষা ব্যবস্থাকে ধূলিসাৎ করে দিয়েছিল। 😠
👉 ম্যাকলে যা কিছু গবেষণা করত,
তা উপরের দায়িত্বপ্রাপ্ত হিসেবে পাঠাত উইলিয়াম অ্যাডামের কাছে।
🧠 আর অ্যাডাম সেই সব রিপোর্ট বিশ্লেষণ করে তৈরি করলেন এক অমূল্য দলিল —
যেটা আজও ব্রিটিশ লাইব্রেরিতে (India House Library) সংরক্ষিত!
কিন্তু আমাদের দেশের পাঠ্যবইতে তার নাম নেই… তার রিপোর্ট নেই…
🔥 বন্ধুরা, ভাবুন একবার —
আমরা আজও সেই ম্যাকলের বানানো শিক্ষা পদ্ধতিতে পড়ছি,
আর যিনি আমাদের গৌরবের সত্য দলিল লিখেছিলেন —
তাঁর নামটাই আমাদের জানা নেই!
📢 তাই ধর্মপাল সেই সত্য সামনে আনলেন —
একজন ব্রিটিশই প্রমাণ করে গেছেন —
👉 ভারত ছিল সুশিক্ষিত!
👉 ভারত ছিল আত্মনির্ভর!
👉 ভারত ছিল বিশ্বের কাছে এক প্রেরণা!
📢 পরবর্তী পর্বে জানব — উইলিয়াম অ্যাডামের রিপোর্টে ঠিক কী কী ছিল,
যা ব্রিটিশ সরকারের নীতির বিরুদ্ধে গিয়ে ভারতের গৌরবকে সামনে এনেছিল!
🎙️ বন্ধুরা,
আমরা একটা কথা শুনে এসেছি…
👉 “ভারত আগে ছিল গরীব…”
👉 “ভারত ছিল পিছিয়ে পড়া একটা দেশ…”
👉 “ইংরেজরা না এলে আমরা কখনও শিক্ষিত হতে পারতাম না…” 😔
❌ কিন্তু আজ… আজ আমি আপনাদের শোনাতে চলেছি সেই গবেষণা রিপোর্ট,
যা করেছিলেন উইলিয়াম অ্যাডাম…
📜 হ্যাঁ, সেই ব্রিটিশ নিজেই — যিনি এসে নিজের চোখে দেখেছিলেন ভারতের শিক্ষা ব্যবস্থার গৌরব!
আর যে রিপোর্ট তিনি লিখে গিয়েছিলেন…
আজও সেটা শুনলে গায়ে কাঁটা দেয়!
😮 চমকে উঠতে হয় — এতটা শক্তিশালী, এতটা গভীর ছিল আমাদের সেই প্রাচীন শিক্ষাব্যবস্থা!
📚 উইলিয়াম অ্যাডামকে ১৮৩৫ সালে ব্রিটিশ সরকার পাঠিয়েছিল ভারতের শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে রিপোর্ট তৈরি করতে।
তিনি ঘুরলেন গ্রাম থেকে গ্রাম, চাষি থেকে পণ্ডিত, ছাত্র থেকে শিক্ষক — সবার সঙ্গে কথা বললেন।
📖 ১৮৩০ সালের দিকে উইলিয়াম অ্যাডাম ভারতের শিক্ষা ব্যবস্থার উপর এক ভয়ংকর শক্তিশালী গবেষণা করেন।
এই রিপোর্টে যা লেখা আছে — আজও শুনলে গায়ে কাঁটা দেয়! 😮
📜 তাঁর রিপোর্টে স্পষ্ট লেখা —
👉 যখন ইউরোপ ডুবে ছিল অশিক্ষার অন্ধকারে,
👉 তখন ভারতের প্রতিটি গ্রামে ছিল পাঠশালা!
👉 গণিত, দর্শন, ব্যাকরণ, আয়ুর্বেদ, জ্যোতির্বিজ্ঞান —
এসব ছিল আমাদের দৈনন্দিন শিক্ষার অঙ্গ!
❗ বন্ধুরা, এই তথ্য আমরা বলিনি…
❗ তারা নিজেরাই লিপিবদ্ধ করেছে!
❗ তারা নিজেরাই প্রমাণ রেখেছে — ভারতের শিক্ষা ব্যবস্থা ছিল বিশ্বের শ্রেষ্ঠ!
👉 কিন্তু আজকের ভারতীয়দের অনেকেই জানে না —
কারণ আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থাও তৈরি হয়েছে তাদের হাতে!
📣 কেউ যদি আজও বলে —
👉 “ভারতের কিছুই ছিল না ইংরেজদের আগে…”
তাহলে আপনি সোজা উত্তর দিন —
🧨 “উইলিয়াম অ্যাডামের রিপোর্ট পড়ে নিন!”
🎯 ১৮৩৫ সালের ২রা ফেব্রুয়ারি…
একজন ব্রিটিশ সাহেব দাঁড়ালেন ব্রিটিশ পার্লামেন্টের মঞ্চে।
🧓 Lord Macaulay —
হ্যাঁ, সেই কুখ্যাত ম্যাকলে —
যার বানানো নীতিই ধ্বংস করে দিয়েছিল ভারতের হাজার বছরের গৌরবময় শিক্ষাব্যবস্থা! 😡
🎙️ দাঁড়িয়ে তিনি বললেন —
👉 “আমি ঘুরেছি সারা ভারত —
উত্তর থেকে দক্ষিণ, পূর্ব থেকে পশ্চিম…
🏙️ শহরেও গেছি,
🏞️ গ্রামেও গেছি…
🚪 বাইরের দিকও দেখেছি,
🕉️ ভিতরের দিকও দেখেছি…”
🔥 এবং তারপর বলল এক ভয়ানক লাইন —
📢
“I have travelled the length and breadth of India…”
“…but I did not see a single beggar!”
“…not a single unemployed person!”
হ্যাঁ বন্ধুরা! এই কথাটা একজন ব্রিটিশ MP বলেছিল ১৮৩৫ সালে !
👉 সেই সময় যখন ভারত ছিল তাদের শাসনে,
কিন্তু তবুও আমাদের আত্মা ছিল মুক্ত!
🌾 আমাদের গ্রামে কেউ ভিক্ষা করত না!
💼 কেউ বেকার ছিল না!
🛠️ ভারত ছিল আত্মনির্ভর! নিজের পায়ে দাঁড়িয়ে ছিল!
❓ তাহলে আজ প্রশ্ন উঠতেই পারে —
👉 এখন কেন ভিখারি আছে?
👉 এখন কেন এত বেকারত্ব?
👉 এখন কেন পড়াশোনা শুধু সার্টিফিকেটের জন্য?
👉 এখন কেন আত্মবিশ্বাস এত নিচে?
📌 কারণ একটাই —
⚠️ ঐতিহ্যের ধ্বংস
⚠️ আত্মমর্যাদার বিনাশ
⚠️ আর শিক্ষার ব্রেনওয়াশ!
বন্ধুরা, উইলিয়াম অ্যাডাম আর লর্ড ম্যাকলের এই রিপোর্টগুলো গল্প নয় — ইতিহাসের দলিল!
📜 এগুলো Hansard Reports থেকে সরাসরি ব্রিটিশ পার্লামেন্টের রেকর্ড করা তথ্য!
Hansard রিপোর্ট কী?
Hansard হচ্ছে ব্রিটিশ সংসদের বিতর্ক বা আলোচনার অফিসিয়াল লিখিত প্রতিবেদন।
এটি বিধানসভা (Legislative Assembly) ও বিধান পরিষদ (Legislative Council)-এ হওয়া সমস্ত বক্তব্য, প্রশ্নোত্তর, এবং প্রক্রিয়াগত ঘটনাগুলোর বিস্তারিত রেকর্ড।
📜 একে বাংলায় বলা যায় — “সংসদীয় বিতর্কের সরকারিভাবে সংরক্ষিত প্রতিবেদন”।
👉 এই তথ্য লুকিয়ে রাখা হয়েছে,
👉 আমাদের বইতে নেই, সিলেবাসে নেই —
কারণ যদি আমরা জানি, আমরা জেগে উঠব!
🎙️ উইলিয়াম অ্যাডাম রিপোর্টে জানালেন — শুধু বাংলাতেই ছিল প্রায় ১ লক্ষের বেশি প্রাথমিক স্কুল!
মোট গ্রামসংখ্যার প্রায় ১/৩ অংশেই ছিল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান!
শিক্ষা ছিল বিনামূল্যে, নিজস্ব পদ্ধতিতে —
শিক্ষক ছিলেন গ্রামীণ সমাজের গর্ব, আর পাঠ্য ছিল গণিত, সাহিত্য, নীতিশিক্ষা, ইতিহাস, ধর্মতত্ত্ব পর্যন্ত!
🔥 এবং সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয় ছিল —
সেই স্কুলগুলিতে ব্রাহ্মণ, কায়স্থ, বৈশ্য, এমনকি নিম্ন জাতির ছেলেরাও একসঙ্গে পড়ত।
এই ছিল আমাদের সেই ঐতিহাসিক ইনক্লুসিভ শিক্ষা — যেটা ব্রিটিশরা পরবর্তীতে ধ্বংস করে দেয়!
📢 উইলিয়াম অ্যাডামের ভাষায় —
“The system of indigenous education in Bengal is more extensive, more inclusive and more effective than what the British system currently offers.”
⚠️ কিন্তু, তারপরে ব্রিটিশ পার্লামেন্টে দাঁড়িয়ে, ১৮৩৫ সালে বলেছিল—
👉 “আমি ঘুরেছি প্যারিস, বার্লিন, হ্যামবুর্গ, মস্কো, লন্ডন, নিউ ইয়র্ক…”
👉 “কিন্তু… এই সব শহরের সম্মিলিত সম্পদ মিলে ভারতের একটি শহর — সুরাটের ধারে-কাছেও আসে না!”
❗ “সুরাটের মতো ধনী শহর আমি বিশ্বে আর কোথাও দেখিনি!”
❗ “এত সম্পদ, এত গৌরব — যে জাতির হাতে থাকে, তাকে দাস বানানো প্রায় অসম্ভব!”
তাই ইংরেজদের প্ল্যান তৈরি হল!
👉 “ভারতকে যদি শাসন করতে হয়,
তাহলে ওদের শিক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস করো… কারণ সেখান থেকেই আসে ওদের গৌরব, বুদ্ধি, আত্মসম্মান এবং সম্পদ!”
“তোমরা যদি ভারতকে দাস করতে চাও—
তাহলে প্রথমে… ওদের শিক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস করো!”
তখন এক M.P ব্রিটিশ পার্লামেন্টে দাঁড়িয়ে জিজ্ঞেস করে—
📌 “ভারতের শিক্ষা ব্যবস্থা কেমন ১৮৩৫ সালে?”
ম্যাকলে উত্তর দিলো—
👉 “সারা ভারতজুড়ে নিরক্ষরতা নেই!”
👉 “দক্ষিণ ভারতে সাক্ষরতা ১০০% — মানে কেরল, তামিলনাড়ু, কর্ণাটক, অন্ধ্রপ্রদেশ!”
👉 “পশ্চিম ভারতে ৯৮%!”
👉 “উত্তরে ৮২%, মধ্যভারতে ৮৭%!”
👉 “সারা ভারত সুশিক্ষিত!”
এরপর প্রশ্ন এল—
📌 “তাহলে ব্রিটেনে কী অবস্থা?”
এডুকেশন মিনিস্টার দাঁড়িয়ে বললেন—
“আমাদের দেশের সাক্ষরতা তখন মাত্র ১৭%… ভারত যেখানে ৯৫–১০০%!”
❗ ম্যাকলে আরও বললেন—
👉 “ভারতে আছে ৭৩,২০০ রাজস্ব গ্রাম (Revenue Villages)।
আর এই প্রতিটি গ্রামে আছে স্কুল!”
❗ “আমি স্কুল বলছি, কিন্তু ভারতীয়রা যেটাকে ‘গুরুকুল’ বলে!”
❗ “শিক্ষা শুধুই বিদ্যা নয়, ছিল মূল্যবোধ, সংস্কৃতি, চরিত্র গঠন!”
আর ঠিক এই ‘গুরুকুল’ ব্যবস্থাটাই তারা ধ্বংস করল…
🔥 আমাদের আত্মা, আমাদের মেরুদণ্ড, আমাদের জ্ঞানচক্ষু— ছিন্নভিন্ন করে দিলো!
বন্ধুরা, প্রশ্ন একটাই—
👉 এই সত্য কি আজ আমাদের পাঠ্যবইয়ে আছে?
👉 আমরা কি আমাদের পরবর্তী প্রজন্মকে বলি এই ইতিহাস?
📣 এবার সময় এসেছে—
নিজের ইতিহাস নিজের ভাষায় বলার!
নিজের গর্ব নিজের মুখে উচ্চারণ করার!
“যদি গুরুকুল থাকত,
তাহলে আমাদের গর্ব, গরিমা, গৌরব থাকত!
তাহলে আমরা ভিখারি জাতি নয়, জ্ঞানী জাতি হিসেবে বিশ্বে পরিচিত হতাম!”
🔥 এই ইতিহাস জানো, ছড়াও…
তাহলেই দাসত্বের শিকল ছিঁড়ে গর্জে উঠবে ভারত!
বন্ধুরা,
একটা সময় ছিল…
যখন ভারতের প্রতিটি গ্রামে একটা করে গুরুকুল ছিল!
📜 এটা আমি বলছি না…
ব্রিটিশ পার্লামেন্টে দাঁড়িয়ে ১৮৩৫ সালের ২ ফেব্রুয়ারি লর্ড ম্যাকলে নিজে বলেছে!
👉 “ভারতে ৭৩,২০০ রাজস্ব গ্রাম রয়েছে…
আর এমন একটিও গ্রাম নেই যেখানে গুরুকুল না থাকে!”
অর্থাৎ— প্রতিটি গ্রামে শিক্ষার আলো জ্বলতো!
সেই আলোকে আজ ইতিহাসের পাতায় চাপা দেওয়া হয়েছে…
📌 ব্রিটিশ পার্লামেন্টে প্রশ্ন করা হয়েছিল —
“এই গুরুকুলে কতজন ছাত্র থাকে?”
👉 উত্তর আসে—
“সবচেয়ে বড় গুরুকুলে ২ লক্ষ ছাত্র!”
“সবচেয়ে ছোট গুরুকুলে ২০০ জন।”
এখন ভেবে দেখুন… ১৮৩৫ সালে এমন গুরুকুল ছিল, যেখানে ২ লক্ষ ছাত্র পড়ত!
কী ছিল এর ব্যবস্থাপনা?
📚 ম্যাকলে বলেছিল— এটা ছিল ‘মন্টেরিয়াল এডুকেশন’ সিস্টেম।
👉 একজন আচার্য ৫০ ছাত্রকে নিয়মিত পড়ান,
সেই ৫০ জন আবার নিচের আরও ছাত্রকে শেখায়,
এভাবে পুরো ২ লক্ষ ছাত্রের শিক্ষা চলে — শৃঙ্খলা ও সম্মানের সঙ্গে!
এই আচার্যকে বলা হতো —
🎓 ‘কুলপতি’ — The Chancellor of the Gurukul!
তিনি ছিলেন পৃথিবীর সেরা শিক্ষাপ্রশাসক।
📌 এরপর ব্রিটিশ পার্লামেন্টে প্রশ্ন উঠে এল—
“এই গুরুকুলে কি শুধু ব্রাহ্মণরাই পড়তে পারত?”
👉 ম্যাকলের জবাব ছিল—
“না! এই গুরুকুলে ব্রাহ্মণ, ক্ষত্রিয়, বৈশ্য, শূদ্র—সব জাতের ছাত্র পড়ত!”
❗❗❗
অর্থাৎ ভারতীয় সমাজে তখন শিক্ষার ওপর কোনো জাতিভেদ ছিল না!
👉 সবাই একসাথে বসে পড়ত, শিখত, গড়ে উঠত!
👉 ব্রিটিশরা জাতপাতের বিষ ঢুকিয়েছিল পরে… আমাদের ভাগ করার জন্য!
বন্ধুরা,
আমরা ছোট থেকে শুনে এসেছি…
👉 “শিক্ষা কেবল ব্রাহ্মণদের জন্য ছিল…”
👉 “শূদ্ররা গুরুকুলে ঢুকতে পারতো না…”
👉 “মেয়েরা পড়াশোনা করতো না…”
❌ কিন্তু আজ আমি আপনাদের সামনে রাখছি সেই ইতিহাস…
যা গোপন ছিল… চাপা ছিল… আর লুকিয়ে ফেলা হয়েছিল!
১৮৩৫ সালে ব্রিটিশ পার্লামেন্টে প্রশ্ন করা হয়েছিল—
👉 “ভারতের গুরুকুলে কারা পড়ে?”
📜 উত্তর এসেছিল—
“ব্রাহ্মণ, বৈশ্য, ক্ষত্রিয়, শূদ্র — সকলেই পড়ে!”
🎯 দক্ষিণ ভারতের গুরুকুলে শূদ্রদের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি!
🎯 পশ্চিম ভারতে ব্রাহ্মণ ও বৈশ্য সংখ্যা প্রায় সমান!
🎯 উত্তর ভারতে ক্ষত্রিয়দের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি!
🎯 আর মধ্য ভারতে—সব সম্প্রদায়ের সংখ্যা প্রায় সমান!
👉 এটাই ছিল আসল ভারত — জ্ঞান যেখানে জাত দেখে না!
📣 প্রশ্ন করা হল—
“শূদ্রদের সংখ্যা তো বেশি, কিন্তু মেয়েরা?”
“তারা কি পড়াশোনা করত?”
🔥 উত্তর এলো—
“দক্ষিণ ভারতের গুরুকুলে ৫৮% ছাত্রী, আর ৪২% ছাত্র!”
হ্যাঁ বন্ধু…
১৮৩৫ সালে ভারতের গুরুকুলে ছাত্রী ছিল ছাত্রের থেকেও বেশি!
এটা কোন দেশের কথা?
👉 ভারতবর্ষের!
👉 যাকে আজকের পাঠ্যবইয়ে বলা হয় ‘নারী-শিক্ষায় পশ্চাৎপদ’!
❗ ব্রিটিশরা নিজেরাই স্বীকার করেছে—
👉 “ভারতে সব শ্রেণির, সব লিঙ্গের মানুষ শিক্ষা পেতো।”
👉 “এই সমাজে শিক্ষা ছিল অধিকার, জাতভেদের অধীন নয়!”
🎯 তারা আরও বলেছে—
“ভারতে মেয়েদের সংখ্যা ছিল ছেলেদের থেকেও বেশি।
এবং সেই কারণে, গুরুকুলেও মেয়েরা বেশি পড়ত!”
তাহলে প্রশ্ন হচ্ছে—
আজ কেন উল্টো?
কারা আমাদের ইতিহাস বিকৃত করেছে?
কারা আমাদের নিজের পরিচয়ের শিকড় কাটতে চেয়েছে?”
“বন্ধুরা, আজ সময় এসেছে—
এই সত্য জানার… এই সত্য ছড়ানোর…
আর জাতপাত, লিঙ্গভেদ—এই সব ভুয়া ইতিহাসকে আলোর সামনে এনে জবাব দেওয়ার!”
📣 এই ইতিহাস লিখে গেছে ব্রিটিশরাই…
আমরা তো শুধু ভুলে গেছি!
তোমার কাজ হলো — স্মরণ করো, প্রচার করো, গর্ব করো!
“আজ যদি তুমি নিজের সন্তানকে সত্য ইতিহাস না শোনাও…
তাহলে আগামী প্রজন্ম ভেবে নেবে— আমরা একদা ভিখারী ছিলাম!”
📣 ছড়িয়ে দাও এই ইতিহাস…
🔥 ছড়িয়ে দাও এই গর্ব…
📚 ছড়িয়ে দাও “গুরুকুল থেকে গর্ব পর্যন্ত” এই সফরের গল্প!
জয় হিন্দ!
This is a big report so