Corporate Daduji

A Corporate Daduji’s Creation

You Are NOT Small

Small Contribution, Big Impact: অনিন্দ্য আর কাঠবেড়ালির গল্প


একটা প্রশ্ন করি…
কখনও কি আপনার মনে হয়েছে—
“আমি তো কিছুই না… আমায় দিয়ে বড় কিছু হবে না…”?

যদি আপনার উত্তর ‘হ্যাঁ’ হয়—
তাহলে…
🌟 আজকের এই গল্পটি আপনার জীবন বদলে দিতে পারে। 🌟

আজকের গল্পের নায়ক—
অনিন্দ্য জ্যোতি বিশ্বাস।

এই গল্প—
👉 একদম সাধারণ small-town ছেলেকে নিয়ে।
এই গল্প—
👉 আপনার নিজের প্রতিভা, নিজের আলো চিনে নেওয়ার গল্পও।


🏡 লালবাগ থেকে উঠে আসা এক স্বপ্ন

মুর্শিদাবাদের পুরনো শহর—লালবাগ
এই শহরের বুক থেকে বড় হচ্ছিল এক ছেলে—
শান্ত, introvert, sensitive…
নিজের মতো থাকা, নিজের মতো স্বপ্ন দেখা।

নাম— অনিন্দ্য জ্যোতি বিশ্বাস।

স্বপ্ন ছিল…
কিন্তু আত্মবিশ্বাস?
খুব বেশি নয়।


🎓 BE College-এর দরজায় পা রাখতেই বদলে গেল সবকিছু

২০০১ সাল।
লালবাগ থেকে বেরিয়ে যখন অনিন্দ্য প্রথমবার
BE College, Shibpur-এ পা রাখল—
সে সত্যিই থমকে গেল।

এই জায়গাটা সম্পূর্ণ অন্যরকম।
নতুন মানুষ। নতুন পরিবেশ। নতুন এক পৃথিবী।

তার সমস্ত পুরনো ধারণা ভেঙে চুরমার হয়ে গেল।

কারণ অনিন্দ্য সবসময় ভাবত—
👉 BE College-এর ছাত্রছাত্রী মানে “শুধু বুদ্ধিমান পড়ুয়া –গাতু
👉 এসব জায়গায় অ্যাডমিশন পায় যারা ,তারা শুধু পড়াশোনায়ই সেরা, আর কিছুতে নয়।

কিন্তু কিছুদিনের মধ্যেই বুঝল—
তার ধারণা ভীষণ ভুল।

এখানে ছেলেমেয়েরা শুধু পড়াশোনাতেই নয়—
বরং অসংখ্য প্রতিভার অধিকারী।

অনিন্দ্য অবাক হয়ে দেখল—
🔥 কেউ গলা খুললে মঞ্চ স্তব্ধ হয়ে যায়— অসাধারণ Singer
🔥 কেউ মাঠে নামলে প্রতিপক্ষ কাঁপে— দুর্দান্ত Sportsperson
🔥 কেউ নাচলে auditorium দাঁড়িয়ে হাততালি দেয়— Electric Dancer
🔥 আর কেউ মাইক্রোফোন হাতে নিলেই সবাই চুপ — Outstanding Anchor

অনিন্দ্য তখন বুঝল—
এরা শুধু পড়াশোনা নয়…
এরা জীবনের প্রতিটা খেলায় জয়ী হতে জানে।

কিন্তু…
তারপরও?

ভিতরে ভিতরে অনিন্দ্য থাকল সেই আগের মতোই—
চুপচাপ, introvert, কুঁকড়ে থাকা খুব সাধারণ একছেলে।

তার মনে হতো—
“বড় কিছু করার মতো যোগ্যতা বোধহয় আমার নেই…”
“আমি খুব সাধারণ… খুব ছোট…”
“আমি কি বা করতে পারি?”


💡 অনিন্দ্যের বড় উপলব্ধি

কিন্তু একদিন—
একটি ছোট্ট গল্প
তার ভেতরের অনিশ্চয়তা, লজ্জা, হীনমন্যতা—
সবকিছুকে ভেঙে দিল।

একটি অবিশ্বাস্যভাবে ছোট প্রাণীর গল্প।
তবু তার শিক্ষা?
💥 বিশাল।

চলুন, সেই গল্পে ডুব দিই…


🐿️ কাঠবেড়ালির গল্প—যা আজও Leadership-এর সেরা Lesson

রামায়ণের সেই সময়—
ভগবান রাম সীতাকে উদ্ধারের জন্য
নির্মাণ করছেন রাম সেতু

চারদিকে শক্তিশালী বানরসেনারা—
কেউ পাহাড় সমান পাথর তুলছে,
কেউ সাগরে ছুড়ে মারছে,
তাদের শক্তিতে সবাই অভিভূত।

এই বিশাল শক্তির ভিড়ে—
একটি অতি ক্ষুদ্র কাঠবেড়ালি
নিজের ছোট হাত-পা দিয়ে
বালি আর কঙ্কর এনে
সেতুর ফাঁকগুলো পূরণ করছিল।

বানরসেনারা সেটা দেখে হাসাহাসি শুরু করল—
“এটা কী নাটক করছিস?”
“সাইড হয়ে যা! চাপা পড়ে মরবি!”
একজন তো বিরক্ত হয়ে
তাকে ছুড়েই দিল দূরে।

কিন্তু দেখুন ভাগ্য…

ছোট্ট কাঠবেড়ালি গিয়ে পড়ল
ভগবান রামের পায়ের কাছে।

রামচন্দ্র তাকে কোলে তুলে নিলেন।
মৃদু হাসলেন।
আর বললেন—

কাজ বড় বা ছোট নয়।
যে নিজের সামর্থ্য অনুযায়ী কাজ করে,
সেই-ই প্রকৃত সাহায্যকারী
,সহযোগী।

তারপর তিনি আদর করে
কাঠবেড়ালির পিঠে হাত বুলিয়ে দিলেন—
আর আশীর্বাদস্বরূপ রইল
সেই তিনটি সাদা দাগ।

যা আমরা আজও কাঠবেড়ালির গায়ে দেখি।


🌱 অনিন্দ্যের ভিতরে তখন চলছিল এক যুদ্ধ…

কাঠবেড়ালির গল্পটা শুনে
অনিন্দ্যের মাথার ভিতর যেন একটা আলো জ্বলে উঠল।

সে নিজের মনে প্রশ্ন করতে শুরু করল—

“আমি কী করতে পারি?”
“আমার specialty কোথায়?”
“আমার uniqueness কী?”
“আমি কোন জায়গায় সত্যিই ভালো?”

এই প্রশ্নগুলো তাকে দিনরাত ভাবাত।
সে বুঝল—
👉 “আমাকে অন্যদের মতো হতে হবে না।”
👉 “আমার নিজের শক্তি খুঁজে বের করতে হবে।”
👉 “আমার ‘ছোট অবদান’টাই একদিন আমার পরিচয় হবে।”

এবং ঠিক তখনই…
হঠাৎ সে নিজের ভিতরে একটি পুরনো আগুনের শব্দ শুনতে পেল।

সে বুঝল—যদি আমি মন-প্রাণ দিয়ে দেই।তবে আমার অবদানও হয়তো একদিন অমূল্য হতে পারে—

সেই মুহূর্ত থেকেই
অনিন্দ্য অন্যদের মতো হওয়া বন্ধ করে দিল।
সে ভাবল—

“আমি আমার capacity-র ২০০% দেব…
যতটা পারি, তার থেকে বেশি দেব…
আর আমার ছোট্ট প্রচেষ্টা একদিন আমার পরিচয় হবে।”


✍️ কবিতার প্রতি তার পুরনো টান ফিরে এল

ছোটবেলা থেকেই ভাষা, ছন্দ, শব্দ, অনুভূতির সাথে
অনিন্দ্যের এক অদ্ভুত বন্ধুত্ব ছিল।
কবিতা তার কাছে শুধু লেখার মাধ্যম নয়—
ছিল নিজেকে প্রকাশ করার পথ।

কিন্তু
small-town থেকে আসা লাজুক, introvert ছেলেটা
এসব কখনো অন্যদের সামনে দেখায়নি।
চুপচাপ নিজের মধ্যে লুকিয়ে রেখেছিল।

কিন্তু এখন?
এবার আর লুকোতে চাইল না।

সে ভাবল—
“হয়তো এটাই আমার শক্তি।
এটাই আমার uniqueness।”


📚 কবিতা — তার ভিতরের কাঠবেড়ালি

সে লিখতে শুরু করল।
প্রতিটা শব্দে ঢেলে দিল নিজের অনুভূতি, নিজের ভালোলাগা।

একসময়
কবিতা হয়ে উঠল তার therapy…
তার identity…
তার ভালোবাসা।

ধীরে ধীরে
সে নিজের আগ্রহকে দক্ষতায়
আর দক্ষতাকে অস্ত্রে রূপান্তর করতে লাগল।


🤝 Batchmates-এর Guidance, Encouragement — এবং এক নতুন পরিচয়

BE College-এ তার batchmates, seniors, বন্ধুরাই—
প্রথমে তার ভিতরের সুপ্ত প্রতিভা আবিষ্কার করল।

কেউ বলল—
“এই কবিতাটা,এই গানটা দারুণ!”
কেউ বলল—
“তুই অন্যরকম লিখিস,ভাবিস!”

কেউ বলল—
“এটা শুধু কবিতা নয়… এটা একটা asset!”

ধীরে ধীরে
সবার উৎসাহ, পরামর্শ, গাইডেন্স
অনিন্দ্যের মধ্যে একটি নতুন পরিচয় তৈরি করতে লাগল।

তার লেখা শুধু কবিতা ছিল না—
তার আবেগ, তার ভাব,তার delivery, তার presentation—
সবকিছু মিলিয়ে
তার style হয়ে উঠল একদম আলাদা।

সেই beat-এ
সেই ঢোলের শব্দে
সে হয়ে উঠল—

🔥 এক অনন্য কবি — ‘ঢোলকবি’

হ্যাঁ—
BE College-এর সেই quiet, introvert, small-town ছেলে
নিজের ভেতরের ছোট্ট কাঠবেড়ালিটাকে বিশ্বাস করে
নিজেকে গড়ে তুলল
এক অসাধারণ, অনন্য, স্মরণীয় ভিন্ন ধারার কবি হিসেবে।

একটা introvert ছেলের talent যখন
নিজের পথ খুঁজে পায়…
তার চেয়ে বড় শক্তি আর কিছু নেই।


আজকের গল্প যদি আপনার মনে
এক বিন্দুও আলো জ্বালিয়ে দেয়—
তাহলে মনে রাখবেন:

আপনার ভিতরে আছে অসীম ক্ষমতা।
আপনি নিজেকে যতটা মনে করেন, তার থেকেও অনেক বেশি শক্তিশালী।
আপনার ছোট কাজগুলোর মধ্যেই লুকিয়ে আছে বিশাল সাফল্যের বীজ।

আজ থেকেই শুরু করুন—
যা পারেন, যতটা পারেন,
তার থেকেও একটু বেশি দিন।

বিশ্বাস রাখুন—
আপনার এই ছোট্ট ২০০% effort
একদিন আপনাকেও
নিজের ঢঙে, নিজের ভাষায়,
নিজের কাজ দিয়ে—

🔥 একজন ঢোলকবি বানিয়ে দেবে।