Corporate Daduji

A Corporate Daduji’s Creation

Unspoken Gita6(B)

An Unspoken Gita –Part 6: কৃষ্ণ ওগান্ধারী এবং ধৃতরাষ্ট্রের শেষ কথোপকথন


🗣️ বন্ধুরা…
আমরা সকলেই জানি—
মহাভারতের যুদ্ধক্ষেত্রে কৃষ্ণ যে জ্ঞান অর্জুনকে দিয়েছিলেন…
তাই-ই আজ বিশ্বজোড়া পরিচিত—
🔱 ভগবদ গীতা 🔱” নামে… 📖✨

এটা কোনও সাধারণ ধর্মগ্রন্থ নয়…
এটা একটা টাইমলেস উইজডম বুক
যার শিক্ষা আজও সমান প্রাসঙ্গিক—
🌍 আমেরিকা থেকে আফ্রিকা, স্কুল থেকে কর্পোরেট, ঘরে-বাইরে…
এমনকি ভবিষ্যতেও থাকবে, কারণ—
👉 এই জ্ঞান সময়ের ওপরে নির্ভর করে না।
এই জ্ঞান কখনোই পুরনো হয় না! 🙏

🎯 কিন্তু বন্ধুরা…
আমরা একটা বড়ো সত্য ভুলে যাই…

❗ কৃষ্ণ শুধু অর্জুনকেই জ্ঞান দেননি…
❗ তিনি গীতার বাইরে, কুরুক্ষেত্রের ভয়াবহ সময়ে—
ভীষ্ম, দ্রোণ, কর্ণ, ধৃতরাষ্ট্র & দুর্যোধনের সাথেও
একটি একটি করে অনুল্লিখিত, কিন্তু অত্যন্ত শক্তিশালী কথোপকথন করেছিলেন।

🕉️ এই কথোপকথনগুলো—
হচ্ছে একেকটি Mini Gita
একেকটা জীবনের দিশারী…
আজকের আধুনিক জগতে—
🧠 Leadership, 🏢 Corporate Stress, 🛣️ Ethical Dilemma, 💼 Job Burnout—
এসবের মাঝে এই জ্ঞান একেকটা পাথেয় হয়ে উঠতে পারে।

🪔 আর তাই…
Corporate Dadudji-তে আমরা শুরু করেছি এক নতুন যাত্রা…
একটা নতুন সিরিজ:
🔱 An Unspoken Gita 🔱”
যেখানে তুলে ধরা হবে এই হারিয়ে যাওয়া কথোপকথনগুলিকে—
আজকের ভাষায়,
আজকের প্রজন্মের কাছে—
সবচেয়ে সহজ ও প্রাসঙ্গিকভাবে।


🎥 আজকের পর্বে—
আমরা শুনব শ্রীকৃষ্ণের সঙ্গে গান্ধারী এবং ধৃতরাষ্ট্রের শেষ আলাপ।


📢যুদ্ধ শেষ…
হাজার হাজার প্রাণ হারিয়েছে…
এক মায়ের বুক ফেটে যাচ্ছে শোকে…

👩🏻‍🦳 তিনি গান্ধারী…

যিনি শত পুত্রের জননী।
তাঁর কোল আজ শুন্য…
তাঁর চোখে শুধু একটাই প্রশ্ন— “কেন?”

🎭 তিনি কান্নায় ভেঙে পড়ে বললেন…
🗣️ “হে কৃষ্ণ!
তুমি চাইলে যুদ্ধ থামাতে পারতে…
তবুও তুমি চুপ রইলে কেন?
আমার সব পুত্র মরলো—
তুমি দেখলে, কিন্তু কিছু করলে না কেন??” 😢

📢 এরপরে ধৃতরাষ্ট্র মুখ খুললেন…

🧓 “হে প্রভু!
আমি জন্মান্ধ… কারও ক্ষতি করিনি…
তবুও এমন নিষ্ঠুর শাস্তি পেলাম কেন?
আমি কী অপরাধ করেছিলাম??” 🥀


🌟 তখনই শ্রীকৃষ্ণ বললেন—
“রাজন…
এই জগতে তিন প্রকার কর্ম রয়েছে…
🎯 এই তিন কর্মই ঠিক করে দেয়—
👉 আপনি কে, আপনার ভবিষ্যৎ কী,
👉 আর কেন আপনার জীবনে ঘটে নির্দিষ্ট কিছু…”


🔹 ১. ক্ৰিয়মাণ কর্ম –
এই জন্মে, এই মুহূর্তে আপনি যা করছেন…
আপনার ভাবনা, কথা ও কাজ…
👉 এ হলো বর্তমান জীবনের কর্ম, যা আপনি প্রতিদিন করছেন –

আপনার ভাবনা, কথা ও কাজ—এই তিনই ক্ৰিয়মাণ কর্মের অন্তর্ভুক্ত।

যেসব কাজ আমরা করছি, যার ফল কিছুদিনের মধ্যেই পাই।

Immediate result received against our work.📌

💥 এটাই আপনার Present Karma।

এই ফল তৎক্ষণাৎ বা কয়েক দিনের মধ্যেই আপনার জীবনে ফিরে আসতে পারে।

✨ মনে রাখবেন, ক্ৰিয়মাণ কর্ম পরিবর্তনশীল। আপনি যেভাবে বাঁচবেন, সেভাবেই বর্তমান ভবিষ্যৎ গড়বে।

📌 এর ফল আপনি শীঘ্রই পাবেন—
ভালো হলে ভালো ফল… খারাপ হলে ততটাই কষ্ট!


🔹 ২. সঞ্চিত কর্ম –

পূর্বজন্মে বা এই জন্মে যা যা করলাম, সব মিলে একটা ভাণ্ডার তৈরি হয়।

👉 এটা হলো আপনার সমস্ত জন্মের সমস্ত কাজের মিশ্র ভাণ্ডার। এতে আপনার এই জন্ম, পূর্বজন্ম ও অন্যান্য জন্মের সব ভালো ও খারাপ কাজ জমা থাকে। এগুলো এক প্রকার স্টোরেজ বা ব্যাংক অ্যাকাউন্ট এর মতো।Spiritual Bank Account 🏦

🔹 উদাহরণ: ধরুন, ৫ জন্ম আগে আপনি একজন দয়ালু ঋষি ছিলেন, বহু মানুষকে সাহায্য করেছেন। তার ফল জমা আছে। আবার, অন্য এক জন্মে আপনি অন্যায়ভাবে কারো ক্ষতি করেছেন, সেটাও জমা আছে।

📌 এই সঞ্চিত কর্মের ফল সব একসাথে আসে না। এগুলো পরে ব্যবহার হয়, যখন প্রারব্ধ কর্মে রূপান্তর হয়।

✨ মনে রাখবেন, সঞ্চিত কর্ম আমাদের ভবিষ্যতের রূপরেখা তৈরি করে। ভালো সঞ্চিত কর্ম মানে ভালো সম্ভাবনা।


🔹 ৩. প্রারব্ধ কর্ম –
👉 এটি হলো সঞ্চিত কর্মের একটি অংশ, যা এই জন্মে ফলভোগ করার জন্য বেছে নেওয়া হয়েছে।এটাই তোমার ভাগ্য।” এটা সেই নির্ধারিত কর্মফল, যা এই জীবনে আপনাকে ভোগ করতেই হবে।

🔹 উদাহরণ: ধরুন, আপনি এমন এক পরিবারে জন্মেছেন যেখানে প্রচুর টাকা আছে, কিন্তু আপনি জন্মসূত্রে অসুস্থ। এটি আপনার প্রারব্ধ কর্ম— হয়তো পূর্বজন্মের কোনো অন্যায় কাজের ফল, যা এখন আপনাকে ভোগ করতে হবে।

📌 এই কর্ম পরিবর্তন করা যায় না, আপনি তা থেকে পালাতে পারবেন না। যেমন – জন্মস্থান, পরিবার, দেহের গঠন, মৃত্যুর সময় ইত্যাদি।

✨ মনে রাখবেন, প্রারব্ধ কর্ম ভোগ্য— সেটা ভালো হোক বা খারাপ, আপনাকে পোহাতে হবে।


👁️ এরপর শ্রীকৃষ্ণ ধৃতরাষ্ট্রকে দিলেন দিব্যদৃষ্টি
তিনি দেখলেন—
৫০ জন্ম আগে, তিনি ছিলেন এক নিষ্ঠুর শিকারি।

🔥 একদিন মজা করে একটা জ্বলন্ত জাল ছুঁড়ে দিয়েছিলেন গাছে—
যেখানে ছিল ১০০টি পাখির ছানা…

সব পুড়ে গিয়েছিল…
আর যেগুলো বেঁচেছিল—
তাদের চোখ অন্ধ হয়ে গিয়েছিল! 😞

📌 সেই পাপ আজ ফিরেছে—
তিনি জন্মেছেন অন্ধ,
আর তাঁর ১০০ পুত্র নিহত হয়েছে!


ধৃতরাষ্ট্র অবাক হয়ে প্রশ্ন করেন:
🗣️ “প্রভু! আমি ওই পাপ তো ৫০ জন্ম আগে করেছি…
তখনই শাস্তি হয়নি কেন?”
💬 শ্রীকৃষ্ণ হেসে বললেন—
পাপ তোমার অপেক্ষা করছিল…
যখন তুমি রাজা হবে,
১০০ পুত্রের জনক হবে—
তখনই সে তোমার চোখে চোখ রেখে শিক্ষা দিতে পারে…” 🔥


🎯 বন্ধুরা…
এই গল্পটা শুধুই পুরাণ নয়—
এটা আমাদের জীবনেরই আয়না। 🪞

আমরা প্রতিদিন যা করি,
যাকে ঠকাই,
কারো চোখের জল ফেলাই…
👉 সেই সব কিছুর হিসেব রেখে দেয় জীবন…
আর ঠিক সময়ে ফেরত দেয়—
সুদ-আসলে, নিঃশব্দে।

📜 মনে রাখবেন—
❝ পাপ কাউকে ছাড়ে না…
এবং কর্মফল থেকে কেউ পালাতে পারে না। ❞


🔔 কথায় বলে—
“বিশ্বাসে মেলায় বস্তু, তর্কে বহু দূর…”
আপনি বিশ্বাস করুন বা না করুন—
কর্ম আপনার পিছু নেবে…

ধীরে ধীরে…
নিঃশব্দে…
আপনার সামনে এসে দাঁড়াবে।


📢 বন্ধুরা…
এই ছিল “🔱 An Unspoken Gita 🔱” সিরিজের প্রথম অধ্যায়ের শেষ…
এখন শুরু হচ্ছে — দ্বিতীয় পর্ব!
এক এমন সত্য, যা শুধু ধর্ম নয় — এটা আত্মজ্ঞান! এটা কর্মফল! এটা মায়ের অভিশাপের ভয়ঙ্কর পরিণতি!
👁️ তাই মন দিয়ে শুনো, হৃদয় দিয়ে বোঝো…


এরপর…
শ্রীকৃষ্ণ তাঁর মহাশক্তিতে গান্ধারীকে দিলেন দিব্যদৃষ্টি 👁️
এক অতীতের অধ্যায় — যা তিনি ভুলেই গিয়েছিলেন — এবার সামনে এসে দাঁড়ালো…

🔥🎞️ তিনি দেখলেন —
একদিন, তিনি রান্না করছিলেন…
ভাত, ডাল, তরকারি — সব প্রস্তুত ✅
তবে হাঁড়িতে পড়ে ছিল কিছু ফুটন্ত গরম জল —
এখন তার আর কোনো প্রয়োজন নেই…

🚪 তাই তিনি জানলা খুলে সেই গরম জলটা বাইরে ফেলে দিলেন…
🌿 বাইরে ছিল শান্ত প্রকৃতি… আর ঠিক তখনই…

👣 এক ছোট্ট পিপঁড়ের পরিবার —
১০০টি ক্ষুদ্র প্রাণ আর তাদের মা
চলছিল নিচ দিয়ে…
আর সেই ফুটন্ত জল, সজোরে গিয়ে পড়ল তাদের উপর! 💦🔥🐜

💥 আহহ্‌হ্‌!!
🔥 তারা ছটফট করে উঠল, জ্বলন্ত ব্যথায় কুঁকড়ে গেল তাদের শরীর…
মৃত্যুর দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে তারা চিৎকার করে উঠল…
আর সেই মুহূর্তে —
⚡ এক ভয়াবহ অভিশাপ আকাশ কাঁপিয়ে উচ্চারিত হল!

🗣️”হে নারী!
তুমি যেভাবে আমাদের সন্তানদের বিনা দোষে দগ্ধ করলে…
একদিন তুমি দেখবে —
👉 তোমারও সমস্ত সন্তান দগ্ধ হবে, ছিন্নভিন্ন হবে 💔
👉 তুমি একজন মা হিসেবে সেই একই যন্ত্রণা ভোগ করবে…
👉 তোমার চোখেও জ্বলবে অনন্ত আগুন 🔥😭!”

📖 সময় কেটে যায়…
কিন্তু শাপ তো কখনো মিথ্যে হয় না —
তা তো সময়ের অপেক্ষা মাত্র…

⚔️ তারপর এল কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধ
ধর্ম আর অধর্মের সংঘাত…
আর শেষে —
দুর্যোধন, দুঃশাসন থেকে শুরু করে
🎯 সব ১০০ কৌরব ভাই
👉 একটিও রইলো না জীবিত…

🌑 আর সেই মা — গান্ধারী…
অন্তরে চোখ খুলে দেখলেন, কীভাবে নিজের গর্ভের সন্তানদের দগ্ধ হতে হয়েছে,
বিনাশ হতে হয়েছে…
তাঁর বুক ফেটে গেল… 💔🕯️
তাঁর অভিশাপ ফিরে এলো তাঁকেই পোড়াতে…


🌌 বন্ধুরা,
এই কাহিনী আমাদের শেখায় —
👉 “এক মায়ের কান্না, এক নিরীহ প্রাণীর আর্তি — কখনো ছোট নয়!”
👉 “অন্যায় কখনোই নিস্তব্ধ হয় না — তা ফিরে আসে ধ্বংসের তাণ্ডব নিয়ে!”
👉 আর অভিশাপ? তা যেন সময়ের ভেতর ঘুমিয়ে থাকে, আর জেগে ওঠে তখন — যখন আমাদের সবকিছু শেষ হয়ে যায়… 🕯️💥

👇👇
তুমি কি বিশ্বাস করো —
❓ অভিশাপ সত্যি হয়?
❓ কর্মফল ফিরেই আসে?
তোমার মত জানাও কমেন্টে 🗣️

🎙️ এটাই ছিল আজকের পর্ব — ‘🔱 An Unspoken Gita 🔱’ সিরিজের এক গভীর, জ্বলন্ত সত্য…

📍 Next Episode:
শ্রীকৃষ্ণ ও মৃত্যু শয্যায় শুয়ে থাকা এক পুরুষ ভীষ্মের শেষ কথোপকথন