An Unspoken Gita –Part 2:শ্রীকৃষ্ণের সঙ্গে ভীষ্মের শেষ আলাপ: এক নিঃশব্দ গীতা
বন্ধুরা…
আমরা সকলেই জানি—
মহাভারতের যুদ্ধক্ষেত্রে কৃষ্ণ যে জ্ঞান অর্জুনকে দিয়েছিলেন,
তাই-ই আজ “ভগবদ গীতা” নামে সারা বিশ্বে পরিচিত… 📖✨
এটা একটা টাইমলেস উইজডম বুক,
যার উপদেশ, শিক্ষা আজও সমান প্রাসঙ্গিক all over the world…
এমনকি ভবিষ্যতেও থাকবে… কারণ এটা সময়ের ওপরে নির্ভর করে না।
এই জ্ঞান কখনও পুরনো হয় না!
কিন্তু বন্ধুরা…
একটা জিনিস আমরা প্রায়শই ভুলে যাই বা উপেক্ষা করি…
কৃষ্ণ শুধু অর্জুনকেই জ্ঞান দেননি…
তিনি মহাভারতের যুদ্ধের সময়ে
ভীষ্ম, দ্রোণ, কর্ণ, অশ্বত্থামা, দুর্যোধনের সাথেও
একটি একটি করে শক্তিশালী, গভীর, অন্তর্জ্ঞানপূর্ণ কথোপকথন করেছেন—
যেগুলোর গূঢ়তা বা শিক্ষা গীতার চেয়ে কোনো অংশে কম নয়!
এইসব কথোপকথন হল Mini Gita —
জীবনের জটিল সময়ে আমাদের জন্য একেকটা করে দিশারী…
🔱 কৃষ্ণের এইসব অমূল্য কথোপকথন…
আজকের দিনের লিডারশিপ, কর্পোরেট জীবন, জব স্ট্রেস,
নৈতিক দ্বন্দ্ব, একাকীত্ব আর আত্মপরিচয়ের সাথেও
ভীষণভাবে রিলেট করে!
আর তাই…
Corporate Dadudji-তে আমরা একটা নতুন যাত্রা শুরু করেছি…
আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি—
এইসব অনুল্লিখিত কথোপকথনগুলোকে নতুন করে তুলে ধরব…
আজকের ভাষায়,
আজকের প্রজন্মের কাছে,
সবচেয়ে সহজ, বোধগম্য এবং প্রাসঙ্গিক উপায়ে উপস্থাপন করব।
So today we have selected
শ্রীকৃষ্ণের সঙ্গে ভীষ্মের শেষ আলাপ:
আসুন, শুরু করি!
দৃশ্যপট: কুরুক্ষেত্রের ভয়ংকর যুদ্ধ শেষ হয়ে গেছে…
💔 যুদ্ধভূমিতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে ছেঁড়া বস্ত্র, ভাঙা মুকুট, ছিন্ন-বিচ্ছিন্ন অস্ত্রশস্ত্র, রক্তমাখা মাটি, ধ্বংসপ্রাপ্ত রথ…
চারদিকে শুধুই শকুন, কুকুর আর শিয়ালের কান্না-ভরা ডাক।
🌫️ বাতাস ভারী — শোক, নীরবতা আর মৃত্যু-গন্ধে।
এই মৃত্যুর নগরে, একমাত্র জীবিত কিন্তু অচল যোদ্ধা — দেবব্রত ভীষ্ম, শরশয্যায় শায়িত।
🏹 [ভীষ্মের শরশয্যা: ]
🕉️ অপেক্ষা করছেন সূর্যের উত্তরায়ণ হওয়ার…

🎬ঠিক তখনই…
👂 এক মধুর কণ্ঠ কানে বাজল—
🗣️“প্রণাম পিতামহ…”
ভীষ্মের ফ্যাকাসে ঠোঁটে হালকা হাসি—
🗣️“আয়ো দেবকীনন্দন… অনেকক্ষণ ধরেই তোমার কথাই ভাবছিলাম।”

👣 কৃষ্ণ ধীরে ধীরে এগিয়ে এলেন, বললেন—
🗣️“কি বলব পিতামহ! এখন তো জিজ্ঞেস করতেও সাহস হয় না — কেমন আছেন আপনি…”
ভীষ্ম ধীরে বললেন—
🗣️“যুধিষ্ঠিরের রাজ্যাভিষেক তো হয়ে গেল কেশব…
ওর খেয়াল রেখো,
রাজপ্রাসাদ এখন বয়োজ্যেষ্ঠ শূন্য— সবচেয়ে বেশি তোমাকেই প্রয়োজন ওর…”
কৃষ্ণ কিছু বলেন না… নীরব। ভীষ্ম আবার বললেন—
🗣️“একটা প্রশ্ন করি কেশব?
তুমি ঠিক সময়েই এসেছো…
মৃত্যুর আগে একটা দোটানা দূর করতে চাই…”
কৃষ্ণ মাথা নোয়ালেন—
🗣️“জিজ্ঞেস করুন পিতামহ!”
ভীষ্ম বললেন,
🗣️”একটা কথা বলো কেশব…
তুমি তো স্বয়ং ঈশ্বর, তাই না?”
🌪️ কৃষ্ণ সাথে সাথেই থামিয়ে দিলেন—
🗣️”না পিতামহ! আমি ঈশ্বর নই।
আমি তো আপনার পৌত্র… ঈশ্বর নয়…”
💫 ভীষ্ম হেসে উঠলেন… করুণ, কিন্তু হৃদয়স্পর্শী হাসি—
🗣️”নিজের জীবনটা কখনও নিজের চোখে দেখে উঠতে পারিনি কেশব…
ভালো ছিল কি মন্দ, আজও জানি না।
কিন্তু এখন তো চলে যাচ্ছি, কেশব,
এখন তো অন্তত আমার সাথে ছলনা কোরো না,কানহাইয়া”
👣 কৃষ্ণ এসে ভীষ্মের হাত ধরলেন—
🗣️”বলুন পিতামহ।”
ভীষ্ম চোখে গভীর প্রশ্ন নিয়ে বললেন—
🗣️“এই যে যুদ্ধ, এই রক্তপাত… সবটা ঠিক ছিল কেশব?”
কৃষ্ণ জিজ্ঞেস করলেন—
🗣️”কোন দিক থেকে, পিতামহ?
পাণ্ডবদের নাকি কৌরবদের?”
ভীষ্ম দীর্ঘশ্বাস ফেলে বললেন—
🗣️”কৌরবদের কর্ম নিয়ে আলোচনা অর্থহীন…
কিন্তু বল তো, পাণ্ডবদের তরফ থেকে যেটা ঘটেছে, সেটা কি ঠিক ছিল?
🎯আচার্য দ্রোণের বধ…
দুর্যোধনের উরুর নিচে ভীমেরআঘাত…
🩸 দুঃশাসনের বুকে আঙ্গুল ঢুকিয়ে ছিন্নভিন্ন করে ভীমের আঘাত,
জয়দ্রথের সঙ্গে প্রতারণা…চক্রান্তমূলক মৃত্যু —
নিরস্ত্র কর্ণের বধ…
সবই কি ন্যায়সঙ্গত ছিল?”
🌪️ কৃষ্ণ শান্ত কণ্ঠে বললেন —
🗣️”এর উত্তর আমি কী করে দিতে পারি পিতামহিন?
এই প্রশ্নের উত্তর তো তাদের দিতে হবে, যারা এসব করেছে।
উত্তর দিক ভীম, যিনি দুর্যোধনকে হত্যা করেছিলেন।
উত্তর দিক অর্জুন, যিনি কর্ণ ও জয়দ্রথকে বধ করেছিলেন।
আমি তো কোথাও ছিলামই না , পিতামহিন…”
💫 ভীষ্ম পিতামহ মৃদু হেসে বললেন —
🗣️”এখনো কি থামবে না, কৃষ্ণ?
যাকগে, বিশ্ব হয়তো আজও বলে যাবে—
মহাভারত অর্জুন আর ভীম জিতেছে।
কিন্তু আমি জানি কানহাইয়া…
এই বিজয় শুধু তোমার, একমাত্র তোমারই।
তাই প্রশ্ন আমি তোমাকেই করবো।”
🌌 কৃষ্ণ এবার গম্ভীর কণ্ঠে বললেন —
🗣️”তাহলে শুনুন, পিতামহ…
কিছুই অশুভ হয়নি…
কিছুই অনৈতিক ছিল না…
যা ঘটেছে, সেটাই ঘটার ছিল।”
ভীষ্ম বললেন —
🗣️”এ তুমি কী বলছ কৃষ্ণ?
এই কথাগুলো কি সত্যিই সে-মর্যাদা পুরুষোত্তম রামেরই অবতার কৃষ্ণ বলছেন?”বিষ্ণুর অবতার কৃষ্ণ বলছেন?”
“এই ধরনের ছল,প্রতারণা তো কোনো যুগেই আমাদের সনাতন সংস্কারের অংশ ছিল না।
তাহলে এ সব কি করে ন্যায়সঙ্গত হল?”
🌪️ কৃষ্ণ জবাব দিলেন —
🗣️”পিতামহ, ইতিহাস থেকে শিক্ষা নেওয়া যায়…
কিন্তু সিদ্ধান্ত নিতে হয় বর্তমানের পরিস্থিতি অনুযায়ী।
প্রত্যেক যুগ তার নিজস্ব যুক্তি আর প্রয়োজন অনুযায়ী তার নায়ককে খোঁজে।

🗣️ত্রেতা যুগে বিষ্ণুর অবতার রাম ছিলেন উপযুক্ত নায়ক…
আর আমার ভাগ্যে পড়েছে দ্বাপর যুগ।
আমাদের সিদ্ধান্ত কখনোই একরকম হতে পারে না, পিতামহ।”
💫 ভীষ্ম মৃদুস্বরে বললেন —
🗣️”তবুও কৃষ্ণ, আমি কিছুই বুঝে উঠতে পারছি না…”
🌌 কৃষ্ণ উত্তর দিলেন —
🗣️”পিতামহ, রাম ও কৃষ্ণ—আমাদের পরিস্থিতির মধ্যে আকাশ-পাতাল পার্থক্য ছিল।
রামের যুগে খলনায়ক রাবণও ছিলেন এক পরম শিবভক্ত।
রাবণের পরিবারে ছিলেন বিভীষণের মতো সাধুজন…
বালির পরিবারেও ছিলেন তারা, যেমন বিদুষী স্ত্রী, আর অঙ্গদের মতো ধার্মিক সন্তান।
সেই যুগের রাক্ষসরাও ধর্মের মর্ম বুঝতেন…
তাই রাম কখনও তাঁদের সঙ্গে ছল করেননি।
কিন্তু আমার যুগে আমার ভাগে পড়েছে—
কংস, জরাসন্ধ, দুর্যোধন, দুঃশাসন, শকুনি, জয়দ্রথ—
এদের মতো পাপীদের সঙ্গ।
যারা মুখে ধর্মের কথা বলে,কিন্তু ধর্ম কী, তা ধারণই করে না।”
“ওদের বিনাশের জন্য করা প্রতিটি ছল, প্রতিটি কৌশল— ছিল ন্যায়সংগত,ধর্মসম্মত, পিতামহ।”
পাপের অবসান আবশ্যক — যেকোনো উপায়ে হোক না কেন।”
🔥 ভীষ্ম আবার প্রশ্ন করলেন —
🗣️”তবু বলো কৃষ্ণ…
তোমার এই সিদ্ধান্তগুলো কি ভুল পথের সূচনা নয়?
ভবিষ্যৎ কি তোমার এই ছলের পথই অনুসরণ করবে?
আর যদি করে… তবে তা কি আদৌ শুদ্ধ হবে?”
🌌 কৃষ্ণ উত্তর দিলেন —
🗣️ভবিষ্যৎ তো এর চেয়েও বেশি অন্ধকারে ডুবে থাকবে, পিতামহ।
কলিযুগে তো এতটুকু সততায় চলা সম্ভবই হবে না।
সেখানে মানুষকে কৃষ্ণের থেকেও কঠোর হতে হবে।
না হলে ধর্মই লুপ্ত হয়ে যাবে।
যখন নিষ্ঠুর আর অনৈতিক শক্তিরা—
সত্য ও ধর্মকে সম্পূর্ণ মুছে দিতে চায়,
তখন নীতির পাঠ অর্থহীন হয়ে পড়ে, পিতামহ।
তখন একমাত্র গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়ায়—
বিজয়।
সেই বিজয়, যা ভবিষ্যৎকে জীবন দান করবে।”
ভীষ্ম বললেন —
🗣️”ধর্মেরও কি কখনও বিনাশ হতে পারে কেশব?
আর যদি তা হয়ও… তবে কি মানুষ তা রুখতে সক্ষম?”
🌌 কৃষ্ণ বললেন —
🗣️”সবকিছু ঈশ্বরের উপর ছেড়ে দিয়ে চুপচাপ বসে থাকা —
এটা মূর্খতা, পিতামহিন।
ঈশ্বর নিজে কিছু করেন না…
তিনি কেবল পথ দেখান।
সবকিছুই মানুষের নিজের হাতে করতে হয়।
আপনারা তো আমাকেও ঈশ্বর বলে থাকেন, তাই না?
তাহলে বলুন পিতামহ —
এই যুদ্ধে আমি নিজ হাতে কী করেছি?
সবকিছু তো পাণ্ডবদেরই করতে হয়েছে।
এটাই প্রকৃতির বিধান।
এই তো যুদ্ধের প্রথম দিনে আমি অর্জুনকে বলেছিলাম—
এটাই পরম সত্য।”
💫 কৃষ্ণের কথা শুনে ভীষ্ম পিতামহ যেন তৃপ্তি পেলেন…
ধীরে ধীরে তাঁর চোখের পাতা ভারী হতে লাগল…
তিনি বললেন —
🗣️”চলো কৃষ্ণ…
আজই হয়তো এই পৃথিবীতে আমার শেষ রাত্রি।
কাল হয়তো আমি চলেই যাবো।
আমার এই অভাগা ভক্তের প্রতি তুমিও দয়া কোরো…”
কৃষ্ণ মৃদু হেসে উঠলেন… কিছুই বললেন না।
শুধু ভীষ্মকে প্রণাম করে ময়দান থেকে সরে গেলেন।
কিন্তু সেই ভয়াবহ অন্ধকারে ঢাকা যুদ্ধভূমিতে…
ভবিষ্যৎ পেয়ে গেল জীবনের সবচেয়ে বড় এক সত্যের সূত্র —
“যখন অনৈতিক আর নিষ্ঠুর শক্তিরা
সত্য আর ধর্মের সমূল বিনাশের জন্য আক্রমণ চালায়,
তখন নীতির পাঠ হয়ে ওঠে আত্মঘাতী।
ঈশ্বর কিছু করেন না…
তিনি কেবল পথ দেখান…
সবকিছু করতে হয় আমাদেরই।
আর ঈশ্বরের উপর ভরসা করে
হাত গুটিয়ে বসে থাকা — সেটাই সবচেয়ে বড় মূর্খতা।”
Objection Handling Skills: Corporate Dauduj’s Magic
এখন এখান থেকে আমরা শুরু করব গভীর বিশ্লেষণ — এবং ধাপে ধাপে শিখে নেব কীভাবে আপত্তি মোকাবিলা করতে হয়।
অর্থাৎ, Objection Handling দক্ষতাকে আমরা বুঝব একটি বাস্তব প্রসঙ্গের আলোকে — কীভাবে তীক্ষ্ণ প্রশ্নের উত্তর দেওয়া যায়, যুক্তি ও আবেগের সঠিক সামঞ্জস্য রেখে।
এই অংশটি আমাদের শেখাবে, কীভাবে কঠিন পরিস্থিতিতেও শান্ত থেকে বুদ্ধিমত্তার সাথে উত্তর দেওয়া যায় — যেমনটি করেছিলেন স্বয়ং কৃষ্ণ।
চলুন এবার আমরা প্রবেশ করি সেই শক্তিশালী Analysis -e.
🎯 Part 1: Objection Handling
📌 সংজ্ঞা:Objection Handling মানে —
❝যখন কেউ প্রশ্ন তোলে, বা আপত্তি জানায়, বা আপনার ভাবনার বিরোধিতা করে —
তখন আপনি কিভাবে সেই আপত্তিকে যুক্তি, আবেগ ও আত্মবিশ্বাসের মাধ্যমে সামাল দেন।❞
👤 ভীষ্ম পিতামহ Objection No 1:
ভীষ্ম পিতামহ কৃষ্ণকে বলেন:
👉 পাণ্ডবদের তরফ থেকে যেটা ঘটেছে, সেটা কি ঠিক ছিল?
🎯আচার্য দ্রোণের বধ…
দুর্যোধনের উরুর নিচে ভীমেরআঘাত…
🩸 দুঃশাসনের বুকে আঙ্গুল ঢুকিয়ে ছিন্নভিন্ন করে ভীমের আঘাত,
জয়দ্রথের সঙ্গে প্রতারণা…চক্রান্তমূলক মৃত্যু —
নিরস্ত্র কর্ণের বধ…
সবই কি ন্যায়সঙ্গত ছিল?এই সব কি ঠিক ছিল?”
🎯 এই প্রশ্নগুলোই হলো “Objection” — এবং ভীষ্মের এই প্রশ্ন আজও বহু মানুষ করে।
🧠 এটা একটা ক্লাসিক example of objection’ — যেখানে কেউ সরাসরি অভিযোগ করছে, নৈতিক প্রশ্ন তুলছে।
🧠 Step-by-Step Breakdown of Krishna’s Objection Handling
🪶 1. Never React — Stay Calm & Respectful
➡️ ভীষ্মের কঠিন অভিযোগ শুনেও কৃষ্ণ উত্তেজিত হন না।
👉 Modern Lesson:
When someone raises a tough objection:
✔️ Don’t get defensive
✔️ Don’t interrupt
✔️ First listen completely with calmness
🧘 Calmness is your first superpower.
🪶 2. Redirect the Responsibility (without Blame Shifting) 👂 ভীষ্ম বলেন —
“ভীমের কাজ, অর্জুনের কৌশল — সব কি ঠিক ছিল?”
🌌 কৃষ্ণ উত্তর দেন —
“এই প্রশ্নের উত্তর আমাকে নয় — যারা করেছে, তাদের দিতে হবে। আমি তো কোথাও ছিলাম না পিতামহ…”
👉 Modern Lesson:
✔️ Don’t jump into giving justification immediately.
✔️ First clarify who holds the responsibility.
✔️ Shift focus respectfully — it buys time & clears the scope of discussion.
🪶 3. Establish Context before Justifying Action
ভীষ্ম জোর দিয়ে বলেন:
“তুমি না ঈশ্বর? তাহলে ছলের পথ তুমি কেন গ্রহণ করলে?”
🌌 কৃষ্ণ বলেন —
“ত্রেতা যুগে রাবণ-র মতো ধর্মজ্ঞানী শত্রু ছিল, আর দ্বাপরে ছিল কংস, দুর্যোধন — যাঁরা ধর্মের মুখোশ পরে অধর্ম করত।”
👉 Modern Lesson:
✔️ Don’t explain your action without explaining the context.
✔️ Background explains Behaviour.
✔️ Before defending What you did, always explain Why you had to do it that way.
🧩 Objection Handling is 80% Context Building, 20% Logic.
🪶 4. Accept the Reality — Speak the Uncomfortable Truth
🌌 কৃষ্ণ বলেন:
“কিছুই অশুভ ছিল না… যা ঘটেছে, সেটাই ঘটার ছিল।”
👉 Modern Lesson:
✔️ Don’t sugarcoat or hide behind idealism.
✔️ Be honest, even if it’s uncomfortable.
✔️ Acknowledge what happened, and speak with clarity.
🧭 Truth, spoken with clarity, builds trust — even from your strongest critic.
🪶 5. Broaden the Perspective
ভীষ্ম বলেন:
“তোমার এই সিদ্ধান্ত কি ভবিষ্যতের জন্য বিপদ নয়?”
🌌 কৃষ্ণ বলেন:
“ভবিষ্যৎ তো আরও অন্ধকার হবে, কলিযুগে সততার স্থানই থাকবে না।”
👉 Modern Lesson:
✔️ Take the listener beyond the current event
✔️ Show them the larger picture
✔️ Shift the focus from “emotion” to “impact & outcome”
📈 When you take your objector from “now” to “future”, you win perspective.
🪶 6. Give the Listener a Role in the Solution
🌌 কৃষ্ণ বলেন —
“ঈশ্বর কিছু করেন না… পথ দেখান। কাজ তো করতে হয় মানুষকেই।”
🎯 Here, Krishna empowers Bhishma to think — “Responsibility is mine too.”
👉 Modern Lesson:
✔️ Don’t just defend your side
✔️ Help the listener feel they too are part of the solution
✔️ Empower them to act or think differently
🧠 Objection Handling isn’t just about winning — it’s about shifting the mindset of the objector.
✅ Final Summary: Krishna’s Objection Handling Strategy
| Skill | Krishna’s Response | Modern Application |
| Calmness | Never angry, always composed | Never react emotionally |
| Clarity | Clear separation of roles | Define scope and role |
| Context | Explained the era difference | Give background before logic |
| Truth | Accepted reality fearlessly | Speak honestly and confidently |
| Perspective | Projected future darkness | Shift focus to bigger picture |
| Empowerment | “You must act, not God” | Involve other in responsibility |
🧘♂️ শেষ কথা:
📖 যখন কেউ Objection তোলে, তখন আপনাকে ভাবতে হবে:
“তারা আমার বিরুদ্ধে নয় — তারা পরিস্থিতি বুঝতে চাইছে।”
🎯 তাই উত্তরে থাকতে হবে:
🔹 Calmness,
🔹 Clarity,
🔹 Conviction,
🔹 এবং Compassion।
আর ঠিক এই ভাবেই — কৃষ্ণ আমাদের শিখিয়ে দিলেন:
Objection handle করা মানে ‘জবাব’ দেওয়া নয়, বরং শ্রদ্ধা রেখে ‘চিন্তা’র দিশা দেখানো।
🎯 Part 2: Adaptability — নিজেকে বদলানোর ক্ষমতা (Learning from Lord Krishna)
🎬 দৃশ্যপট:
ভীষ্ম যখন কৃষ্ণকে প্রশ্ন করেন —
“এই ছল, প্রতারণা… এ কি তোমার মতো ঈশ্বরের কাজ?”
তখন কৃষ্ণ কী বলেন?
🌌 “ত্রেতা যুগে রাম ছিলেন উপযুক্ত নায়ক Role Model , দ্বাপরে আমি।”
💥 এখানেই লুকিয়ে আছে “Adaptability”-র মূল সূত্র।
🔍 কী শেখালেন কৃষ্ণ?
🌀 Each era demands its own strategy.
➡️ ত্রেতা যুগে ধর্মজ্ঞানী শত্রু ছিল — রাবণ, বালি, কুম্ভকর্ণ — যাঁরা ‘ধর্ম’ বুঝতেন।
➡️ কিন্তু দ্বাপর যুগে শত্রুরা ছিল — শকুনি, কংস, দুর্যোধন — যারা ধর্মের মুখোশ পরে অধর্ম করত।
📌 তাই কৃষ্ণ বলেন —
👉 “যুগ অনুযায়ী সিদ্ধান্ত বদলাতেই হয়। প্রতিটি পরিস্থিতি অনুযায়ী নিজের কৌশল বদলানো — এটাই Adaptability.”
💡 বাস্তব জীবনে প্রয়োগ:
🔹 একসময় হয়তো একটা কৌশল বা আইডিয়া আমাদের কাজে লেগেছিল, কিন্তু পরবর্তী পরিস্থিতিতে সেটি ব্যর্থ হচ্ছে —
➡️ তখন সেটিকে আঁকড়ে না ধরে নতুনভাবে ভাবতে জানতে হবে।
🔹 Change মানেই বিপদ না — Change মানে Growth-এর সুযোগ।
🔹 Adaptable মানুষ workplace-এ leader হয় — কারণ সে বুঝে:
👉 “What worked yesterday may not work today.”
🎯 Part 3: Flexibility vs Rigidity — কঠোরতা বনাম নমনীয়তা
🌪️ ভীষ্মের প্রশ্ন ছিল কঠিন:
“তুমি তো ধর্মের ধারক, তাহলে কেন তুমি এমন ছল ব্যবহার করলে?”
🌌 কৃষ্ণের উত্তর:
👉 “যখন অনৈতিক আর নিষ্ঠুর শক্তিরা সত্যকে নিশ্চিহ্ন করতে চায়, তখন নীতির পাঠ আত্মঘাতী হয়ে ওঠে।
ঈশ্বর পথ দেখান, কাজ করতে হয় মানুষকেই।”
🔍 এই কথাগুলির মধ্যে লুকিয়ে আছে Flexibility vs Rigidity-এর পাঠ:
🪨 Rigidity মানে:
➤ আগের ধারণা, নীতি, কৌশল, বা ভাবনাকে আঁকড়ে ধরা — পরিবর্তন না মানা, পরিস্থিতির কথা না ভাবা।
🌱 Flexibility মানে:
➤ পরিস্থিতি বুঝে নিজেকে নতুনভাবে সাজানো।
➤ যে লক্ষ্যে পৌঁছাতে চাই, তা ঠিক রেখে পথ বদলানো।
👉 ভীষ্ম ছিলেন Rigidity-র প্রতীক —
তিনি নিজের প্রতিজ্ঞাকে এত আঁকড়ে ধরেছিলেন যে চোখের সামনে অন্যায় দেখেও কিছু করতে পারেননি।
🌀 কিন্তু কৃষ্ণ ছিলেন Flexibility-র প্রতীক —
তাঁর লক্ষ্য ছিল ‘ধর্ম রক্ষা’। সেই লক্ষ্যে পৌঁছাতে তিনি পথ বদলাতে দ্বিধা করেননি।
💡 বাস্তব জীবনে প্রয়োগ:
🔹 অনেকে বলে, “আমি যা শিখেছি, তাই করব।”
➡️ কিন্তু জগৎ তো বদলাচ্ছে — আজকের দুনিয়ায় static mindset দিয়ে survive করা যায় না।
🔹 Flexibility মানে surrender নয় —
👉 Flexibility মানে জ্ঞান, অবস্থা-বিচারে নিজেকে পুনর্গঠন করা।
📌 সারাংশ:
🔹 কৃষ্ণ Adaptability-এর মাধ্যমে যুগ অনুযায়ী নিজেকে গড়েছেন।
🔹 তিনি Flexibility-এর মাধ্যমে কঠিন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, যেখানে Rigidity আত্মঘাতী হতো।
🔹 এবং এটিই আজকের শিক্ষার মূল কথা:
“যে বদলাতে জানে, সেই টিকে থাকে। যে নিজেকে আপডেট করতে জানে, সেই ভবিষ্যতের নেতা।”
🎬 শেষ কথা:
আপনি যদি চাইছেন Real Life-এ Growth করতে —
তবে আজ থেকেই কৃষ্ণের মতো Adapt হতে শিখুন।
🙏 যুগ ও পরিস্থিতির সঙ্গে তাল মিলিয়ে নিজেকে নতুন করে গড়ে তুলুন।
📖 কারণ সনাতন দর্শন বলে —
“ধর্ম পরিবর্তিত হয় না, কিন্তু ধর্ম রক্ষার পদ্ধতি অবশ্যই যুগোপযোগী হতে হয়।”
Now we are going to provide some real life examples of Flexibility vs Rigidity.Power of Adaptability .
🗣️“উদাহরণই হল সবচেয়ে বড় শিক্ষা! আর যারা উদাহরণ তৈরি করে… তারাই ইতিহাস বদলায়!”
বন্ধুরা, একটা প্রশ্ন…
“আপনি কি সময়ের সাথে বদলাতে শিখেছেন? নাকি এখনও পুরনো অভ্যাসে আটকে আছেন?”
❗এই প্রশ্নটা জিজ্ঞেস করা খুব দরকার, কারণ যারা বদলাতে পারে না, সময় তাদের ডাস্টবিনে ফেলে দেয়! 🗑️
💔 মনে আছে Kodak কোম্পানির নাম?

একসময় বিশ্বের ৮৫% ফটোগ্রাফ Kodak-এর ক্যামেরায় তোলা হত 📸
১৯৯৮ সালে, কোডাকে কাজ করতেন ১ লক্ষ ৭০ হাজার মানুষ!
আর আজ?
একেবারে নেই! কোম্পানি দেউলিয়া হয়ে গিয়েছে, কর্মীরা ছাঁটাই… স্বপ্ন গুলো ছিঁড়ে গিয়েছে! 😔
কেন?
কারণ, তারা সময় বুঝতেই পারেনি, প্রযুক্তিকে গ্রহণ করতে পারেনি, বদলাতে পারেনি।
💣 আর ঠিক এই কারণেই উঠে গেছে আরও অনেক “একসময়ের রাজা” কোম্পানি 👇
📺 National TV
🎵 Raledy ক্যাসেট
⏰ Casio ঘড়ি
🚗 Ambassador
📱 Nokia,Blackberry
📻 Murphy Radio
💻 Compaq
✈️ Pan Am
📚 Borders
🧸 Toys “R” Us
🔥 Enron
🎶 Tower Records…
এদের কারোর কোয়ালিটিতে সমস্যা ছিল না!
তবুও তারা টিকে থাকতে পারেনি… কারণ তারা বদলাতে পারেনি! 😓
🎯 এখন আপনার মনে হচ্ছে — “এইসব পুরনো গল্প, এখন তো যুগ বদলে গেছে!”
ঠিক তাই!
এখনকার যুগ হল — Adaptability বা নিজেকে বদলানোর ক্ষমতার যুগ! 🔁💡
🚕 Uber-এর কথা ভাবুন — নিজের একটাও গাড়ি নেই, তবুও পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ট্যাক্সি সার্ভিস!
🏨 Airbnb-এর হোটেল নেই, তবুও সবচেয়ে বড় হোটেল চেইন!
📲 Paytm, Oyo, Ola — সব software-driven company!
এরা সবাই নিজেকে সময়ের সাথে বদলে নিয়েছে… তাই তো জিতেছে! 🏆
⚖️ এখন শুনুন একটু ভয়ানক ভবিষ্যৎ দর্শন 🔮:
🔹 আগামী ১০ বছরে —
৭০-৯০% চাকরি সম্পূর্ণভাবে বিলুপ্ত হয়ে যাবে!
A.I এবং মেশিন লার্নিং অনেক কাজই মানুষের থেকে ভালো করে ফেলবে 🤖
✅ Junior Lawyer? Clio, MyCase নামের সফটওয়্যার নেবে তোমার জায়গা।
✅ Junior Doctor? Medscape, Telemedicine অ্যাপগুলি চারগুণ নিখুঁত রিপোর্ট দিতে পারছে!
📉 ডাক্তার, উকিল, টিচার, রিচার্জ দোকানদার — কেউই নিরাপদ নয়!
💥 যদি Adapt না করতে পারেন, তাহলে আপনিও এই ঝড়ে ভেসে যাবেন!
🤯 গাড়ির ক্ষেত্রেও আসছে বিপ্লব:
🚘 ২০৩৫ সালের মধ্যে ৯০% গাড়ি রাস্তায় থাকবে না।
সব গাড়ি হবে — Electric বা Driverless!
🧑✈️ চালক দরকার নেই… Accident হবে ৯৯% কম!
📉 তাই ট্রাফিক পুলিশ, গাড়ি বীমা, পার্কিং স্টাফ — সব উঠে যাবে!
📞 মনে আছে STD বুথের কথা? আজ কোথায় তারা?
📱 মোবাইল আসতেই সব ভ্যানিশ!
তারপর মোবাইল রিচার্জ দোকান! এখন সেগুলোও বদলে যাচ্ছে — কারণ রিচার্জ তো এখন Amazon বা Paytm থেকেই হয়ে যাচ্ছে!
💸 টাকাও বদলাচ্ছে!
Cash 👉 Card 👉 Wallet 👉 এখন UPI বা Mobile Tap 💳📲
bKash, Paytm, Google Pay — টাকার সংজ্ঞাটাই বদলে যাচ্ছে।
🎤 বন্ধুরা, এই পৃথিবীতে শুধু একটাই জিনিস চিরকাল স্থায়ী —
“বদল” বা Change! 🔁
⏳ যারা সময়ের সাথে নিজেকে বদলায়, তাদের কেউ আটকাতে পারে না!
🔥 আর যারা বদলাতে ভয় পায় — তাদের ইতিহাস ভুলে যায়!
তাই বলছি…
নিজেকে বদলান, নিজেকে আপডেট করুন, নিজেকে সময়ের জন্য প্রস্তুত করুন।
কারণ আগামী ১০ বছরে এই কথাটা আপনার বাঁচার অন্যতম চাবিকাঠি হতে চলেছে! 🔐
🎯 শেষ কথা:
“যারা বদলায়, তারাই টিকে থাকে।
যারা টিকে থাকে, তারাই জয় করে!” 💪🔥
📢 এই মেসেজটা ছড়িয়ে দিন — আপনার বন্ধুদের, পরিবারকে, সহকর্মীদের — সবাইকে জানান,
“বদলানো মানে বাঁচা!”
🧠💥Adapt… or get Eliminated!
আপনার সিদ্ধান্তই আপনার ভবিষ্যৎ গড়ে তুলবে।