Corporate Daduji

A Corporate Daduji’s Creation

Unspoken Gita1(B)

An Unspoken Gita –Part 1:


শ্রীকৃষ্ণের সঙ্গে দুর্যোধনের শেষ আলাপ: এক নিঃশব্দ গীতা

বন্ধুরা…
আমরা সকলেই জানি—
মহাভারতের যুদ্ধক্ষেত্রে কৃষ্ণ যে জ্ঞান অর্জুনকে দিয়েছিলেন,
তাই-ই আজ “ভগবদ গীতা” নামে সারা বিশ্বে পরিচিত… 📖✨

এটা একটা টাইমলেস উইজডম বুক,
যার উপদেশ, শিক্ষা আজও সমান প্রাসঙ্গিক all over the world…
এমনকি ভবিষ্যতেও থাকবে… কারণ এটা সময়ের ওপরে নির্ভর করে না।
এই জ্ঞান কখনও পুরনো হয় না!

কিন্তু বন্ধুরা…
একটা জিনিস আমরা প্রায়শই ভুলে যাই বা উপেক্ষা করি…
কৃষ্ণ শুধু অর্জুনকেই জ্ঞান দেননি…
তিনি মহাভারতের যুদ্ধের সময়ে

ভীষ্ম, দ্রোণ, কর্ণ, অশ্বত্থামা, দুর্যোধনের সাথেও
একটি একটি করে শক্তিশালী, গভীর, অন্তর্জ্ঞানপূর্ণ কথোপকথন করেছেন—

যেগুলোর গূঢ়তা বা শিক্ষা গীতার চেয়ে কোনো অংশে কম নয়!

এইসব কথোপকথন হল Mini Gita —
জীবনের জটিল সময়ে আমাদের জন্য একেকটা করে দিশারী…

🔱 কৃষ্ণের এইসব অমূল্য কথোপকথন…
আজকের দিনের লিডারশিপ, কর্পোরেট জীবন, জব স্ট্রেস,
নৈতিক দ্বন্দ্ব, একাকীত্ব আর আত্মপরিচয়ের সাথেও
ভীষণভাবে রিলেট করে!

আর তাই…
Corporate Dadudji-তে আমরা একটা নতুন যাত্রা শুরু করেছি…

আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি—
এইসব অনুল্লিখিত কথোপকথনগুলোকে নতুন করে তুলে ধরব…

আজকের ভাষায়,
আজকের প্রজন্মের কাছে,
সবচেয়ে সহজ, বোধগম্য এবং প্রাসঙ্গিক উপায়ে উপস্থাপন করব।

So today we have selected

শ্রীকৃষ্ণের সঙ্গে দুর্যোধনের শেষ আলাপ:

আসুন, শুরু করি!


বন্ধুরা…
মহাভারতের যুদ্ধ তখন শেষ পর্যায়ে…
⚔️ কুরুক্ষেত্রের মাটি লাল হয়ে গেছে রক্তে…
চারদিকে শুধু নিথর দেহ…
একটা নিস্তব্ধতা…
একটা ভয়ঙ্কর শূন্যতা…

আর সেই মৃতদেহের স্তূপের মাঝে…
পড়ে আছেন মৃত্যুপথযাত্রী 👑 দুর্যোধন…

তখনই ধীরে ধীরে সামনে এলেন—
✨ ভগবান শ্রীকৃষ্ণ ✨

দুর্যোধন চোখ মেলে তাকালেন…
চোখ থেকে গড়িয়ে পড়ল অশ্রু… 💧
এই সেই দুর্যোধন—
যিনি কৃষ্ণকে “গোয়ালা”, “অযোগ্য” বলে অপমান করতেন…
যিনি কখনো সম্মান দেননি…
👣 এমনকি যখন কৃষ্ণ শান্তিদূত হয়ে কৌরবদের সভায় আসেন—
তখনও তাঁকে বন্দি করার চেষ্টা করেছিল দুর্যোধন!

কিন্তু আজ…
শেষ মুহূর্তে…
সেই কৃষ্ণকেই দেখে ভেঙে পড়লেন দুর্যোধন… 💔

কৃষ্ণ কাছে এলেন, বললেন—
🗣️ “বলো দুর্যোধন… কী বলতে চাও?”

দুর্যোধন বললেন…
“হে মাধব…
আজ আমি স্বীকার করছি…
আমার হার, পাণ্ডবদের কাছে নয়…
আমি হেরেছি আমার অহংকারের কাছে…
আমার লোভের কাছে…
আমার ভ্রান্ত আকাঙ্ক্ষার কাছে… 😔”

📜 যুদ্ধ শুরুর আগে কর্ণকে দুর্যোধন একবার বলেছিল—
“আমি জানি কী ধর্ম, কী অধর্ম…
আমি জানি কী সঠিক, কী ভুল…
আমি দ্রোণাচার্যের শিষ্য!
জ্ঞান আমার আছে…

❗কিন্তু সমস্যা অন্য জায়গায়…
সমস্যা হলো— আমি জানি এটা ভুল, তবুও করতে বাধ্য হই…
আমার ভিতরে একটা রাক্ষস বাস করে, যে আমাকে থামতে দেয় না!
আমি একজন ‘জ্ঞান-পাপী’…
এইটাই আমার আসল সমস্যা!”

বন্ধুরা…
একটু থেমে ভাবুন…
🌿 আজও আমাদের অনেকের অবস্থা একই রকম…

আমরা জানি কী ঠিক, কী ভুল…
তবুও অফিসে, পরিবারে, সমাজে—
আমরা অহংকার, মোহ, ভ্রান্ত অ্যাম্বিশনের কাছে হেরে যাই… 😩
আমরা দুর্যোধনের মতোই, নিজের ভিতরের রাক্ষসকে জয় করতে পারি না।

⚔️ দুর্যোধন কৃষ্ণকে বলেছিল—
“হে মাধব…
আমার ভিতরের রাক্ষসকে কেউ থামায়নি…
আর সেই রাক্ষসই বড় হতে থাকল… আমাকে গ্রাস করে ফেলল…”

আজকের সমাজেও সেই রাক্ষস জন্ম নেয়—
🚫 একাকিত্ব থেকে, অবহেলা থেকে, সমাজের উদাসীনতা থেকে।

👉 স্কুলে, কলেজে, কিংবা কর্পোরেট অফিসে—
যদি কেউ socially awkward হয়…
তাকে “arrogant”, “attitude আছে” বলে দূরে সরিয়ে দেওয়া হয়…
কিন্তু কেউ জিজ্ঞেস করে না—
“ওর মনের ভিতরে কী যুদ্ধ চলছে?” 😶‍🌫️

ঠিক যেমন কেউ বুঝতে পারেনি দুর্যোধনের যন্ত্রণা…

দুর্যোধন বলেছিল—
🗣️ “হে মাধব…
আমার অহংকার আমি একা বানাইনি…
আমার আপনজনেরা তাতে জল ঢেলেছে…
কিন্তু কেউ আমার হাত ধরেনি…
কেউ আমাকে সঠিক পথে আনেনি…” 🤲

বন্ধুরা…
আজও অনেক ছেলেমেয়ে, কর্মচারী, বন্ধুরা—
এই একই অভিযোগ রাখে সমাজের প্রতি।

👉 অন্যায় তখনই ঘটে, যখন কেউ হেনস্থা হয়…
আর আমরা চুপ করে থাকি…

ঠিক যেমন সেই রাজসভায়…

📍 যখন দ্রৌপদীর বস্ত্রহরণ হচ্ছিল—
🧍‍♂️ কেউ মুখ খোলেনি…
না যুধিষ্ঠির, না ভীষ্ম, না দ্রোণ, না ধৃতরাষ্ট্র!

আজকের অফিসেও যদি একজন মেয়ে হ্যারাসমেন্ট ফেস করে,
📱 কিংবা সোশ্যাল মিডিয়ায় যদি কেউ সাইবার বুলিং-এর শিকার হয়—

আমরা তখনও শুধু দেখি…
কিন্তু চুপ করে থাকি…
দূরে সরে যাই… 😶

তখন প্রশ্ন ওঠে—
❓ দোষী কে?
যে অন্যায় করে?
না যে দেখে, তবুও কিছু বলে না?


🧠 রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বলেছিলেন—
“অন্যায় যে করে, আর অন্যায় যে সহে—
তব ঘৃণা যেন তারে তৃণসম দহে…”
 🔥


🎯 বন্ধুরা…
আজকের সমাজে, অফিসে, পরিবারেও এমন পরিস্থিতি আসে,
যেখানে আমরা দেখি অন্যায়—
কিন্তু মুখ বন্ধ করে থাকি…

কিন্তু মনে রাখো…
🚫 ভয় পেলে ধর্ম মরে যায়…
🚫 চুপ থাকলে বিবেক মরে যায়…
✅ আর কেউ একজন কথা বললে—
ইতিহাস তৈরি হয়! ✊

🌐 আজকের যুগে এই মহাভারতের গল্প শুধুই ধর্মীয় নয়—
এটা একটা আয়না…
যেটা আমাদের সমাজ, অফিস কালচার, বন্ধুত্বের ভেতরের “Silent Complicity” দেখায়…

💬 কৃষ্ণ বলেছিলেন—
“ধর্মের রক্ষা অস্ত্র দিয়ে নয়…
ধর্ম তখনই মারা যায়…
যখন ধর্মের ধারকরা চুপ থাকে…”

📌 এটা শুধু এক সভার কথা নয়…
আজকের সমাজেও…
“চুপ থাকা” হচ্ছে সবচেয়ে বড় সহমত! 😷

🚫 যখন ম্যানেজার একজন জুনিয়রকে অপমান করে—
সবাই দেখে, কেউ কিছু বলে না…
🚫 যখন একজন ছাত্র কাউকে ফাঁসায়—
বাকি সবাই মুখ ঘুরিয়ে নেয়…
🚫 যখন একজন ভালো ছেলে/মেয়ে নিজের আবেগে ডুবে যায়—
তখন কেউ পাশে থাকে না…

এভাবেই জন্ম নেয় আরেক দুর্যোধন…
আমাদের সবার নিঃশব্দতার মাঝে…

⚠️ মৃত্যুর আগে দুর্যোধন কৃষ্ণকে বলেছিল—
“হে মাধব…
পরের জন্মে যদি জীবন পাই—
আমায় এমন একাকিত্ব দিয়ো না…
যা একজন মানুষকে রাক্ষস বানিয়ে দেয়…” 🥀


🎭 বন্ধুরা…
এটাই এই কাহিনির সবচেয়ে বড় পাঠ—
👉 “একজন অপরাধীর পেছনেও একটা ভেঙে পড়া মন থাকে…”
👉 “একজন ভুল মানুষও হয়তো কারও ফেলে আসা বন্ধু, ভাই, প্রেমিক, স্বামী বা বাবা ছিল…”

তাই বন্ধুরা…
আপনি যদি সমাজে পরিবর্তন চান…
তবে প্রথম পদক্ষেপ— ‘চুপ না থাকা!’

📢 আপনি যদি একটা অন্যায় দেখেন…
তাহলে মুখ খুলে বলুন—
“এটা ঠিক নয়!”

কারণ…
🛡️ ধর্ম বাঁচে তখনই—
যখন একজন সাধারণ মানুষও অন্যায়ের বিরুদ্ধে মুখ খোলে!
 💥


📺 দেখা হবে পরের পর্বে…
আরও একটা এমন গল্পের সাথে…
যেটা শুধুই গল্প নয়…
একটা জীবনের আয়না… 🪞