20 Years and a Missing Diary
বন্ধুরা, মনে আছে তো… আমিতাভ বচ্চনের সেই দাপুটে ডন ?
কিংবা শাহরুখ খানের তীক্ষ্ণ চোখের ডন সিনেমার সেই কিংবদন্তি ডায়েরি?
যার পিছনে ছুটেছিল গোটা দুনিয়া—
কারও কাছে সেটি ছিল ক্ষমতার চাবিকাঠি,
কারও কাছে রহস্যের উত্তর,
আর কারও কাছে… অমর উত্তরাধিকার।

২০০১ সাল। BE কলেজ হস্টেল নম্বর ৯।
এখানে ছিল ঢোলকবি।
শুধু একটা নাম নয়, একটা ঝড়, একটা আবেগ, একটা অদম্য সৃষ্টির আগুন।
গুরুদেব অয়ন (আমরা যাকে ডাকতাম পিঁয়াজ বলে) আর সৈকতের মুখ থেকে ঝরে পড়া প্রতিটি কথা, প্রতিটি কবিতা, প্রতিটি গানের রিমেক—ঢোলকবি সেসব মহাভারতের গণেশের মতো নিষ্ঠায় লিখে রাখত তার ডায়েরিতে।
প্রতিটি শব্দ ছিল যেন একেকটি মণি, প্রতিটি বাক্য একেকটি মুক্তো।
এই ডায়েরি শুধু নোটবই ছিল না—এ ছিল ভক্তি, শ্রদ্ধা আর অসীম কৌতূহলের এক মণিমাল্য।

কালের স্রোতে সেই ডায়েরি হয়ে উঠল এক অমূল্য ধন।
যাদের কাছে এর মানে ছিল, তাদের কাছে এ ছিল এক অনন্য সম্পদ।
এ শুধু কাগজের পাতা নয়—এ ছিল একটা সময়ের সাক্ষী।
হাসি, কান্না, বন্ধুত্ব, আর সেই অদ্ভুত সৃষ্টি—যা আজও বুকের ভেতর হৃদয়ের ধুকপুকুনি বাড়িয়ে দেয়।
কিন্তু আজ, 25 বছর পর…
সবচেয়ে বড় প্রশ্ন—
সেই ডায়েরি এখন কোথায়?
ধুলোর আস্তরণে কি হারিয়ে গেছে তার অক্ষর?
স্মৃতির কুয়াশায় কি মিলিয়ে গেছে তার শব্দ?
নাকি… কোথাও, কারও সযত্ন রক্ষণাবেক্ষণে,
এটি অপেক্ষা করছে সেই মুহূর্তের জন্য—
যখন এটি তুলে দেওয়া হবে পরবর্তী প্রজন্মের হাতে,
যেন এক কিংবদন্তির উত্তরাধিকার!

হয়তো এটি এখনো কোনো বন্ধুর বইয়ের তাকের পেছনে লুকিয়ে আছে।
হয়তো কোনো পুরনো ট্রাঙ্কের তলায়, পুরনো চিঠি আর ছবির সঙ্গে।
অথবা… কারও কাছে, যিনি জানেন—এখনো সময় আসেনি এটি প্রকাশ করার।
এই ডায়েরি শুধু কাগজ নয়।
এ এক সময়যাত্রার মাধ্যম।
২০০১-এ ফিরিয়ে নিয়ে যায়—
যখন হস্টেলের করিডরে হাসির ঝড় উঠত,
যখন মাঝরাতের কবিতা পড়া ছিল বিপ্লব,
যখন প্রতিটি শব্দ ছিল একটি হাসির স্ফুলিঙ্গ।
আর আজও সেই প্রশ্ন—
কে রাখে এই ডায়েরি?
কেন এতদিন লুকিয়ে রেখেছে?
ভয়? শ্রদ্ধা? নাকি সময়ের অপেক্ষা?
হয়তো ২৬শে ডিসেম্বর, ২০২৫—
একটি তারিখ, যা রিইউনিয়নের দিন, হয়তো সেদিনই এটি আবার আলোর মুখ দেখবে।
নাকি এটি চিরকাল গল্পের মধ্যেই থেকে যাবে,
এক কিংবদন্তি হয়ে?
“যে বোঝে সে খোঁজে, যে খোঁজে সে পায়।”