Corporate Daduji

A Corporate Daduji’s Creation

The Power of Purpose:KFC Story

Vision to Victory: জীবনকে দেখুন অন্য চোখেমাসিমার ঝুলি – গল্প:


জীবনের পথে চলতে চলতে আমি অনেকবার লক্ষ্য করেছি—কিছু মানুষ খুব অল্প বয়সেই সাফল্যের শিখরে পৌঁছে যায়, আবার কেউ হয়তো পুরোনো বয়সে সঠিক সময়ে সাফল্য অর্জন করে। আবার কিছু মানুষ জীবন জুড়ে সংগ্রাম করেও কখনো সাফল্যের মুখ দেখে না।

আমার কাছে সাফল্য মানে শুধু অর্থের পাহাড় তৈরি করা নয়। পয়সা দিয়ে যদি সাফল্য বিচার করা যেত, তবে পৃথিবী কত সহজ হয়ে যেত। কিন্তু বাস্তবতা সম্পূর্ণ ভিন্ন।

সাফল্য মানে—মানসিক শান্তি, নিজের জীবনযাত্রার সঠিক পথ খুঁজে পাওয়া, সেই পথ অনুসরণ করতে গিয়ে অন্তরের শান্তি অর্জন করা।

বহু বছর ধরে আমি এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজছিলাম—সত্যিকার অর্থে সাফল্য কী? আর কীভাবে তা অর্জন করব?


আর অবশেষে, এক অদ্ভুত বাস্তব জীবনের গল্পে সেই প্রশ্নের জবাব পেলাম। এই গল্পের মধ্যে এমন কিছু গভীর দিক লুকিয়ে আছে, যা শুনলে আপনার চেতনা কেঁপে উঠবে, ভাবনাগুলি বদলে যাবে।

এটা শুধু একটি সাধারণ গল্প নয়, এর মধ্যে রয়েছে এমন এক রহস্য, যা আপনার হৃদয়কে নাড়িয়ে দিতে সক্ষম। আমি আপনাদের সামনে তুলে ধরতে যাচ্ছি সেই অসাধারণ গল্প, যা আপনার দৃষ্টিভঙ্গি বদলে দেবে, শুধু তা-ই নয়, বরং আপনাকে ভাবতে বাধ্য করবে—সত্যিই সাফল্য কী?

এই বিশাল পৃথিবীতে কিছু গভীর রহস্য আছে, যেগুলো আমাদের চোখের সামনে থাকে, কিন্তু আমরা কখনও তা লক্ষ্য করি না। আসুন, আমরা একসাথে সেই রহস্যে প্রবেশ করি।


এটি শুধু একটি গল্প নয়, এটি এক জীবনের অজানা সংগ্রাম, এক অনবদ্য শিক্ষা এবং জীবনের অপ্রত্যাশিত পথের অমুল্য সন্ধান।

এক শিশু, যিনি ৬ বছর বয়সে তার বাবাকে হারিয়েছিলেন, কীভাবে তার জীবনের কঠিন পরিস্থিতিকে শক্তিতে পরিণত করে ইতিহাস সৃষ্টি করেছিলেন, তা জানলে আপনার চোখে জল চলে আসবে।

কেমন হয় যদি এক ৬ বছর বয়সী শিশুকে তার পরিবারের দায়িত্ব নিতে হয়? যখন মায়েরও সময় নেই, তখন এই শিশু নিজেই রান্নাঘরে দাঁড়িয়ে খাবার তৈরি করতে শুরু করে।

আপনি কী মনে করেন, এতে তার শৈশব নষ্ট হয়ে গেল? এমনকি যখন তার বয়স ছিল অল্প, তখন সে স্বপ্নেও ভাবেনি যে এই ছোট কাজ তার জীবনের বড় পরিণতি হয়ে দাঁড়াবে এবং তাকে কিংবদন্তি (Legend) বানিয়ে দেবে।


অদ্ভুতভাবে, সময় তাকে নিজের পথ তৈরি করতে শিখিয়েছিল। ১০ বছর বয়সে স্কুল ছেড়ে কাজ শুরু করে এই ছেলেটি। তার জীবনে ব্যর্থতার খাতা জমতে থাকে, কিন্তু কি হয় যখন জীবন আপনাকে একের পর এক চ্যালেঞ্জ দেয়? আপনি কি ভেঙে পড়বেন? নাকি আপনি সেই চ্যালেঞ্জকে নিজের অস্ত্র বানিয়ে নেবেন?


১৬ বছর বয়সে সে একটি (ফারজি) নকল ডিগ্রি বানায় এবং আর্মিতে যোগ দেয়, কিন্তু মাত্র এক বছর পর তাকে বেরিয়ে আসতে হয়।

পরবর্তী জীবনে একের পর এক চাকরি হারায়, বারবার ব্যর্থতা, কিন্তু সে কি থেমে গিয়েছিল? না! এক সময় তার মনে আসে—”এটাই কি আমার পরিণতি?”—যখন সে কিছুটা থমকে গিয়ে নিজেকে হারিয়ে ফেলেছিল, ঠিক তখনই কিছু নতুন ভাবনা তার মনকে জাগিয়ে তোলে।

“আপনি কি অনুমান করতে পারেন, আমি যে ছেলেটির কথা বলছি, সে কে?”

ছেলেটি যদি তখন হতাশ হয়ে গিয়ে সবার মতো আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নিতেন, তাহলে কি KFC (Kentucky Fried Chicken) এর মতো বিশাল খাদ্য চেইন পৃথিবীতে কখনো জন্ম নিত? আপনিই বলুন।


তার জীবনের গল্প, কত বাধা, কত কষ্ট, কিন্তু আজও মানুষ মনে রাখে তার তৈরি করা সেই বিশেষ ডিশ। কিন্তু তার ইতিহাস ঠিক এখানেই শেষ হয়নি—এটি ছিল তার বড় অভিযানের শুরুর একটা ছোট্ট অধ্যায়।

আজও ভাবুন, যদি সে নিজের শখ—রান্না—কে না আঁকড়ে ধরতো, যদি সে প্রতিটি ব্যর্থতা ও সমস্যা মোকাবেলা না করতো, তাহলে কি KFC এই পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ফাস্ট ফুড চেইন হিসেবে দাঁড়িয়ে থাকতো?


অথবা, আপনি কি মনে করেন, যখন তার ব্যবসা বারবার ব্যর্থ হচ্ছিল, তখন সে কি শেষ পর্যন্ত আত্মসমর্পণ করতে পারেনি? না! সে জানত, “কোনো কিছু যদি সত্যিই আপনাকে বদলাতে পারে, সেটা হলো আপনার অভ্যন্তরীণ শক্তি, আপনার প্যাশন।”

আপনি জানেন কি? সে যদি প্রতিটি “না” কে “হ্যাঁ”-তে পরিণত না করতো, তাহলে হয়তো আজকের KFC কখনোই আমাদের পছন্দের খাবার তালিকায় থাকতো না। সেই ৬ বছর বয়সে রান্নাঘরে কাজ করেছিল, কিন্তু তার সেই সময়ের সংকট আর সংগ্রাম তাকে দিকনির্দেশনা দিয়েছিল যে, যে কোনো কঠিন পরিস্থিতি একদিন সাফল্যে রূপ নেবে, যদি আপনি থেমে না যান।

এটা এক বড় শিক্ষা—জীবন যখন আপনাকে হাজার বার ধাক্কা দেয়, তখন আপনি কি হার মেনে বসে থাকবেন, নাকি পরবর্তী এক ধাক্কাকে পরবর্তী জয় হিসেবে ভাববেন? মনে রাখবেন, যে মানুষ কখনো পিছু হটেনি, তাকেই শেষ পর্যন্ত সাফল্য ছুঁতে হয়।

তাহলে, আপনার জীবনে কী ঘটছে এখন? আপনি কি সেই শক্তি ও অধ্যবসায় রেখেছেন? না হলে এই গল্প আপনাকে আরও একবার ভাবতে বাধ্য করবে।


গল্পের নীতি: যেদিন আপনি আপনার আসল উদ্দেশ্য খুঁজে পাবেন, সেদিন আপনার পুরো পৃথিবী বদলে যাবে।

আপনার জীবন যদি শুধুই সংগ্রাম, ব্যর্থতা, আর অসম্পূর্ণতার মধ্যে আবদ্ধ থাকে, তাহলে একটাই কারণ—আপনি এখনও আপনার প্রকৃত উদ্দেশ্য খুঁজে পাননি। আপনি এক অনন্য মিশন নিয়ে জন্মেছেন—একটি সৃষ্টিকর্তার দান, যা কেবল আপনি পূর্ণভাবে পূর্ণ করতে পারবেন। কিন্তু জানবেন, যতদিন আপনি এই উদ্দেশ্য আবিষ্কার না করবেন, যতই পরিশ্রম করুন না কেন, প্রতিটি পদক্ষেপ যেন আপনি দেয়ালের বিরুদ্ধে ঠেলছেন।

এখন নিজেকে প্রশ্ন করুন—আপনার জীবনের প্রতিটি বাধা, প্রতিটি চ্যালেঞ্জ, কি তার সংকেত নয় যে, আপনি এখনও আপনার সঠিক পথ খুঁজে পাননি? যদি না, তবে কী হবে যদি এই সমস্ত সমস্যার সমাধান আপনার আত্মার সাথে সঙ্গতিপূর্ণ কাজের মধ্যে থাকে?

ততদিন পর্যন্ত, যতদিন আপনি আপনার দীক্ষা, আপনার প্রকৃত কাজ খুঁজে না পাবেন, ততদিন আপনার সাফল্য শুধু একটি মেঘের মতোই হতে থাকবে—এটা আপনাকে ছুঁতে পারবে না। কিন্তু প্রশ্ন হলো, আপনি কি প্রস্তুত আছেন সেই কাজটি আবিষ্কার করার জন্য? অথবা আপনি কি প্রতিনিয়ত সংগ্রাম করতে থাকবেন, ক্ষণস্থায়ী জয়গুলোর পিছনে দৌঁড়াবেন, কখনও আপনার আসল লক্ষ্য অর্জন করতে পারবেন না?

অবশেষে, মনে রাখবেন—আপনি যখন আপনার আসল উদ্দেশ্য খুঁজে পাবেন, তখন বুঝতে পারবেন, প্রতিটি সংগ্রামই ছিল বড় কিছু অর্জনের প্রস্তুতি। জীবনের সত্যিকারের জয় তখনই আসবে, যখন আপনি আপনার পথ খুঁজে পাবেন।

Watch World’s Best Motivational Story of কলোনেল স্যান্ডার্স, KFC (Kentucky Fried Chicken)