Corporate Daduji

A Corporate Daduji’s Creation

Pratik Mallik-The Legacy Begins

🌟প্রতীক মল্লিকের গল্প: স্বপ্নের শুরু, চ্যাম্পিয়নের লড়াই! 🌟


বন্ধুরা, যারা মোবাইল বা ল্যাপটপে গেম খেলেন, আপনারা নিশ্চয়ই জানেন—লেভেল ওয়ান থেকে শুরু করে লেভেল ৫০-এ পৌঁছানোর পথ কতটা চ্যালেঞ্জিং!

প্রতিটি ধাপে গেম আরও জটিল হয়, বাধা আরও কঠিন হয়। কিন্তু সত্যিকারের চ্যাম্পিয়নরা? তারা প্রতিটি বাধা ভেঙে, সাহস আর দৃঢ়তা নিয়ে এগিয়ে যায়।

আজ আমি আপনাদের শোনাবো এমনই এক চ্যাম্পিয়নের গল্প—আমার দেখা প্রথম হিরো, প্রতীক কুমার মল্লিক-এর গল্প। 🌠


এক সাধারণ ছেলের অসাধারণ স্বপ্ন

হাওড়ার শিবপুরের এক সাধারণ ছেলে, প্রতীক। ছোটবেলা থেকেই পড়াশোনা আর খেলাধুলায় সমান পারদর্শী। 📚⚽ অর্জুনের মতো সব্যসাচী, যে কোনো কাজেই নিজের ছাপ রাখতে জানত। কলেজে ভর্তি হলো শিবপুর বি-কলেজের মেটালার্জি ডিপার্টমেন্টে। মাত্র ৩০ জন ছাত্রছাত্রীর ছোট্ট একটা ডিপার্টমেন্ট। কেউ ভাবেনি এই ডিপার্টমেন্ট কখনও চ্যাম্পিয়ন হওয়ার স্বপ্ন দেখবে।

কিন্তু প্রতীক ছিল অন্যরকম। তার চোখে ছিল স্বপ্ন, হৃদয়ে ছিল জ্বলন্ত আগুন। 🔥

একক লড়াই থেকে দলের জাগরণ

তৃতীয় বর্ষে এসে প্রতীকের একক প্রচেষ্টায় মেটালার্জি ডিপার্টমেন্ট ইন্টার-ডিপার্টমেন্টাল ফুটবল টুর্নামেন্টে সেমিফাইনালে পৌঁছল। চতুর্থ বর্ষে এসে সে শুধু খেলেনি, পুরো দলকে একত্রিত করল। সে উৎসাহ দিল, স্বপ্ন দেখাল—চ্যাম্পিয়ন হওয়ার স্বপ্ন। প্রতীকের নেতৃত্বে দলের প্রতিটি সদস্যের মধ্যে নতুন স্পিরিট জাগল। সবাই বিশ্বাস করতে শুরু করল, “এইবার হয়তো আমাদের বছর!” 🌟

কিন্তু জীবনের খেলায় বাধা তো আসবেই। ফাইনালের আগে দলের অনেকে আহত। প্রতীকের পায়ের অবস্থা ভয়াবহ—ফুলে গেছে, রক্তপাত হচ্ছে। ডাক্তাররা সাফ বললেন, “ফাইনালে খেলা অসম্ভব।” কিন্তু প্রতীক জানত, সে মাঠে না নামলে দলের মনোবল ভেঙে যাবে। তাই সে নিজের শরীর, নিজের জীবনকে ঝুঁকির মুখে ফেলে মাঠে নামল। 💪

ফাইনালের দিন: এক অসম্ভব লড়াই

2003 সালের ইন্টার-ডিপার্টমেন্টাল ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল। প্রতিপক্ষ ছিল ইলেকট্রিক্যাল ডিপার্টমেন্ট। আর তাদের নেতৃত্বে ছিলেন এক সত্যিকারের স্পোর্টস জিনিয়াস—পুষ্প সৌরভ বিশ্বাস। সেদিন পুষ্পদা গোলকিপারের ভূমিকায় নামলেন। 🧤 মেটালার্জির একের পর এক আক্রমণ, অসাধারণ শট—সবকিছু তিনি একাই রুখে দিলেন। যেন মহাভারতের জয়দ্রথ, অভিমন্যুর কাছে চক্রব্যূহকে দুর্ভেদ্য করে তুলেছিলেন। পুষ্পদা সেদিন আমাদের কাছে ছিলেন এক অজেয় প্রাচীর।

শেষ মুহূর্তে মেটালার্জি আরেকটি গোল খেয়ে বসল। স্কোর ২-০। ইলেকট্রিক্যাল ডিপার্টমেন্ট চ্যাম্পিয়ন হলো। প্রতীকের ফাইনাল ইয়ার, তার স্বপ্ন হাতের কাছে এসেও হাতছাড়া হয়ে গেল। 😔


তবুও প্রতীক আমাদের হিরো

কিন্তু জানেন, বন্ধুরা, প্রতীক মল্লিক তখনও আমাদের চোখে একজন হিরো। কারণ সে শিখিয়েছে—দল মানে কী, নেতৃত্ব মানে কী, আত্মত্যাগ মানে কী। গেম সবসময় জেতা যায় না, কিন্তু যারা সাহস নিয়ে দলের জন্য লড়ে, তাদের নাম ইতিহাসে থেকে যায়। প্রতীক শিখিয়েছে—নিজেকে নয়, দলকে বড় করতে শিখলে তবেই মানুষ হয়ে ওঠে সত্যিকারের চ্যাম্পিয়ন। 🌟

স্বপ্ন কি শেষ হয়ে গেল?

ফাইনালের পর প্রতীক হয়তো ভেবেছিল, তার স্বপ্ন সেখানেই শেষ। কলেজ ছাড়ার সঙ্গে সঙ্গে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার ইচ্ছে যেন মাটির নিচে চাপা পড়ে গেল। কিন্তু বন্ধুরা, জীবনের গল্প কখনও এত সহজে শেষ হয় না। কখনও কখনও একজনের স্বপ্ন হয়ে ওঠে অনেকের প্রেরণা। একজনের লড়াই আগুন জ্বালিয়ে দেয় পরবর্তী প্রজন্মের হৃদয়ে। 🔥

প্রশ্ন হলো—

  • প্রতীকের জীবনে কি সত্যিই কোনো জাদুকরী মোড় আসবে? ✨
  • নাকি নতুন কোনো যোদ্ধা তার মিশনকে এগিয়ে নিয়ে যাবে?
  • মেটালার্জি কি আবারো স্বপ্ন দেখতে শিখবে—চ্যাম্পিয়ন হওয়ার স্বপ্ন?

পরবর্তী পর্বে কী হবে?

নতুন প্রজন্ম কি প্রতীকের সেই অগ্নিস্ফুলিঙ্গটাকে জ্বালিয়ে রাখবে? নাকি সময়ের স্রোতে সব মিলিয়ে যাবে, শুধু অমলিন স্মৃতি ছাড়া আর কিছুই থাকবে না? সব প্রশ্নের উত্তর মিলবে আমাদের পরের পর্বে—“প্রতীক মল্লিক – The Legacy Begins”

📢 তাই অপেক্ষা করুন পরবর্তী পর্বের জন্য…
জানতে চান এই গল্পের পরিণতি কী? প্রতীকের স্বপ্ন কি সত্যি হবে, নাকি নতুন কেউ তার অগ্নিস্ফুলিঙ্গকে জ্বালিয়ে তুলবে? 🔥
আমাদের সঙ্গে থাকুন, কারণ এই গল্প শুধু ফুটবলের নয়—এই গল্প স্বপ্নের, লড়াইয়ের, আর চ্যাম্পিয়ন হওয়ার!