Corporate Daduji

A Corporate Daduji’s Creation

Modern Ravana Traps(Masimar Jhuli)

রাবণের গোপন ফন্দি-a মাসিমার ঝুলি Presentation : আধুনিক রাবণের আসল ভয়


শীতের সন্ধ্যা। উঠোন জুড়ে মাটির প্রদীপের মৃদু আলো। শিশিরভেজা ঠান্ডা হাওয়ায় যেন রহস্যের মায়া। সবাই গোল হয়ে বসে আছে। বাতাসে পিনড্রপ নীরবতা। আর মাঝখানে বসে আছেন মাসিমা—হাঁড়ি ঠাকুরের মতোই সব রহস্যের কেন্দ্রবিন্দু। তাঁর চোখে আজ অদ্ভুত আলো।

এক শিশু ফিসফিস করে জিজ্ঞেস করল,
“মাসিমা, আজ কী গল্প বলবেন?”

মাসিমা হালকা হেসে বললেন,”আজ তোমাদের বলব এমন এক গল্প, যা শুধু অতীতের নয়। এই গল্পে তোমাদের নিজের জীবনের একটা অংশ দেখতে পাবে।
তুমি কি জানো, তোমার চারপাশে রাবণ আর রাক্ষসেরা আজও আছে?
তারা কিন্তু আগের মতো তলোয়ার বা তীর নিয়ে আসে না। আজ তারা অনেক বেশি কৌশলী। Modern রাবণ Updated আর Upgraded।

তারা কী করে জানো?
তারা চাইছে, তুমি যেন কখনো তোমার ভেতরের শক্তি চিনতে না পারো। জানো কেন?”

শিশুদের চোখ বড় বড়। বড়রাও নড়ে চড়ে বসল।
“কেন, মাসিমা?”

মাসিমার গলায় গভীর গম্ভীরতা।
“তারা জানে, যদি তোমার ভেতরের হনুমান জেগে ওঠে, তাহলে তাদের সব রাজত্ব ধূলিসাৎ হয়ে যাবে।

তুমি কি জানো, কীভাবে তারা তোমার ভেতরের হনুমানকে ঘুমিয়ে রাখতে চায়?”


Modern রাবণের গোপন ফন্দি

মাসিমা গভীর গলায় বললেন,
Modern রাবণ জানে, যদি হনুমান নিজের শক্তি বুঝতে পারে,

তাহলে পুরো লঙ্কা পুড়ে যাবে।
তাই তাঁরা কি করে জানো?
তারা হনুমানকে ঘুমিয়ে রাখে।
তারা তাঁকে বিভ্রান্ত করে।
তারা তাঁকে নানারকম প্রলোভনের জালে ফাঁসিয়ে রাখে।
তারা তাঁকে ব্যস্ত রাখে অপ্রয়োজনীয় কাজে, Mediocre কাজে।

তাদের উদ্দেশ্য একটাই—হনুমান যেন নিজের ভেতরের ক্ষমতা কখনোই বুঝতে না পারে।
তারা তাঁকে এমন এক ঘোরের মধ্যে রাখে, যেখানে তিনি ভুলেই যান, তাঁর মধ্যে কত বিশাল এক শক্তি লুকিয়ে আছে।”


আজকের রাবণ: তারা আমাদের মধ্যে আছে

“তুমি কি ভাবছ, এই গল্প শুধুই রামায়ণের?
না।
এই গল্প আজকের।
এই গল্প আমার, তোমার, আমাদের সবার।

আজও আধুনিক রাবণ আর তার রাক্ষসেরা আমাদের চারপাশে ঘুরে বেড়াচ্ছে।
তারা কীভাবে আমাদের আটকে রাখে, জানো?

  • সোশ্যাল মিডিয়ার নেশা দিয়ে।
  • বিনোদনের মোহে ফাঁসিয়ে।
  • নেতিবাচক চিন্তা আর হীনমন্যতা ঢুকিয়ে।
  • আরামের মিথ্যে স্বপ্ন দেখিয়ে।

তারা আমাদের ব্যস্ত রাখে।
তারা চায়, আমরা যেন mediocrity-এর ঘুমে ডুবে থাকি।
কারণ তারা জানে, একবার যদি আমরা আমাদের ভেতরের হনুমানকে জাগাতে পারি, তাহলে তাদের রাজত্ব শেষ।

তোমাদের মনে হচ্ছে তো, এই আধুনিক রাবণ কে?
ভেবে দেখো—তোমার জীবনে এমন কী কী জিনিস আছে, যা তোমাকে তোমার আসল শক্তি চিনতে দিচ্ছে না?”


তাহলে কীভাবে জাগবে তোমার হনুমান?

“তুমি কি জানো, হনুমান কীভাবে নিজের শক্তি চিনতে পেরেছিলেন?
তাঁর জীবনে ছিলেন জাম্বুবান
সেই মেন্টর, সেই প্রাজ্ঞ।
জাম্বুবান তাঁকে মনে করিয়ে দিয়েছিলেন, তাঁর লুকানো শক্তির কথা।

তিনি বলেছিলেন,
‘তোমার ভেতরে যে শক্তি আছে, তা অজেয়। একবার তুমি যদি নিজের ক্ষমতা বুঝতে পারো, তাহলে তুমি এক লাফে সমুদ্র পার করতে পারবে।

এই কথাগুলোই হনুমানের চোখ খুলে দিয়েছিল।
তিনি বুঝতে পেরেছিলেন, তিনি কে।
আর তারপর কী হল?
হনুমান পুরো লঙ্কা পুড়িয়ে দিলেন। রাবণের সমস্ত ক্ষমতা ধ্বংস হয়ে গেল।”


তোমার ভেতরে কি আছে একজন জাম্বুবান?

“তুমি কি জানো, তোমার জীবনেও একজন জাম্বুবানের প্রয়োজন?
তুমি হয়তো এখনো নিজের শক্তি বুঝতে পারো না।
তোমার চারপাশে নিশ্চয়ই এমন কেউ আছেন, যিনি তোমার ওপর বিশ্বাস রাখেন। যিনি তোমার ভেতরের শক্তি জাগাতে পারেন।

কিন্তু জানো?
সবচেয়ে বড় সত্যি হল, তোমার ভেতরের হনুমান জাগানোর দায়িত্ব তোমারই।
জাম্বুবান দেখাবে রাস্তা। কিন্তু তোমাকে হাঁটতে হবে সেই পথ।”


তোমার ভেতরের হনুমানকে জাগাও

“শোনো, তোমার ভেতরে লুকিয়ে আছে সেই হনুমান।
তুমি কি জানো?
তুমি যদি তোমার লুকানো শক্তি জাগাতে পারো, তাহলে—

  • তুমি অসম্ভবকে সম্ভব করতে পারবে।
  • তুমি সমস্ত বাধা ভেঙে ফেলতে পারবে।
  • তুমি আধুনিক রাবণদের ধ্বংস করে দিতে পারবে।

তোমার ভেতরের হনুমান কিন্তু ঘুমিয়ে আছে।
তাকে জাগানোর জন্য দরকার সাহস
দরকার বিশ্বাস
আর দরকার নিজের ভেতরের সেই আলোকে চিনতে পারা।”


শেষ প্রশ্ন: তুমি কি প্রস্তুত?

“তাহলে বলো, তুমি কি সেই হনুমান, যিনি এখনো ঘুমিয়ে আছ?
তুমি কি নিজের শক্তি বুঝতে প্রস্তুত?
তুমি কি তৈরি নিজের জীবনের সমস্ত বাধাকে ছুঁড়ে ফেলে দিতে?

মনে রেখো, তোমার ভেতরের হনুমান একবার জেগে উঠলে কিছুই অসম্ভব নয়।
তুমি আধুনিক রাবণের মুখোমুখি হবে।
তুমি প্রমাণ করবে, একজন সাধারণ মানুষও অসাধারণ হয়ে উঠতে পারে।”

প্রদীপের আলো আরও উজ্জ্বল হয়ে উঠল। বাতাসে ছড়িয়ে পড়ল নতুন দিনের সম্ভাবনার গন্ধ।
সবাই চুপ। চোখে অদ্ভুত আলো। যেন ভিতরে ভিতরে কিছু জেগে উঠছে।