When God Writes Your Story-A Personal Insight
বন্ধুরা, আজ আমি আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করতে চাই আমার নিজের গল্পটা।
একটা গল্প—যেখানে আমি শিখেছি,
👉 আমরা যা চাই, সব সময় তা হয় না…
কিন্তু ঈশ্বর যা চেয়েছেন… তা কখনো ভুল হয় না।
সময়টা ২০০১ সাল।
আমি তখন প্রথমবার ভর্তি হলাম BE College, Shibpur-এ।

আমার স্ট্রিম ছিল Metallurgical Engineering.
প্রথম প্রথম সবকিছু নতুন লাগছিল—

নতুন ক্যাম্পাস, নতুন বন্ধু, নতুন স্বপ্ন…
কিন্তু কিছুদিন পরেই বুঝতে পারলাম—
এই Metallurgy যেন আমার ভেতরের কোনো Spark জ্বালাচ্ছে না।
ক্লাসে বসে থাকতাম, কিন্তু মন চলে যেত অন্য জগতে।
আমি তখন Computer Hardware, Assembling, Software—
এইসব নিয়ে ব্যস্ত থাকতাম।
যেখানে অন্যরা ধাতুর গঠন শিখছে,
আমি শিখছিলাম কিভাবে একটা কম্পিউটার খুলে আবার জোড়া দিতে হয়। 😄
ধীরে ধীরে Metallurgy শব্দটাই আমার কাছে কৌতুকের মতো হয়ে গেল।
আমি মজা করে বলতাম—
“Metal–lurgy -means Metal-e-Allergy!”
কারণ সত্যিই আমার ধাতুতে অ্যালার্জি ছিল!
আমার মস্তিষ্ক, আমার আইডিয়া বাল্ব—
কম্পিউটার, IT, টেকনোলজি নিয়ে মুহূর্তে জ্বলে উঠতো।
কিন্তু Metallurgy নিয়ে কিছুই বুঝতাম না।
পরীক্ষায় বারবার সাপ্লিমেন্টারি আসত,
ভুল পথে, অসৎপথে চলতাম, ব্যর্থ হতাম—
তবুও থামিনি follow the same mistake again & again।
শেষ পর্যন্ত batchmates আর professors-দের সাহায্যে
আমি কোনোরকমে BE Metallurgy ডিগ্রি হস্তগত করলাম।
কিন্তু এরপরও আমি Metallurgy ছেড়ে IT field-এ যাওয়ার চেষ্টা করলাম।
আরও একবার ব্যর্থ হলাম।
ফিরে এলাম শূন্য হাতে।
একদিন আমার সিনিয়র Pratik Mallik বললেন—
“Degree enhance কর, MBA কর।”
আমি তাঁর কথা শুনে ভর্তি হলাম MBA Marketing-এ।
সেই সিদ্ধান্তটাই আমার জীবনের টার্নিং পয়েন্ট।
MBA শেষ করে আমি কাজ শুরু করলাম—
SKF Bearing কোম্পানিতে, Sales & Marketing-এ।
তারপর Usha Martin, তারপর Toyota Tsusho,
তারপর Rohit Steel-এ as a Plant Head হিসেবে,
তারপর Sunflag Steel-এ Export Sales & Marketing-এ।
আর ভাবতে পারেন?
এইসব জায়গাতেই আমি কাজ করছিলাম—
যে আমি একসময় Metal-e-Allergy বলে মজা করতাম,
আজ আমি সেই Metallurgy ফিল্ডের মধ্যেই কাজ করছি! 😮
একসময় যে বিষয়টা আমার কাছে ছিল “অসহ্য” —
আজ আমি সেই বিষয়েই lectures দিই,
Super Alloy, High Metallurgy Grades এবং তার Applications নিয়ে
বড় বড় Consultancy Firm-গুলোর সঙ্গে আলোচনা করি,various বিষয়ে lectures দিই,
আর তারা আমার সেই Consultancy-র জন্য আনন্দের সঙ্গে পেমেন্ট করে।
কখনও কখনও আমি নিজেই অবাক হয়ে যাই—
আমি, যে একসময় Metallurgy-er নাম শুনলেই কাঁপতাম,
আজ সেই Metallurgy নিয়ে বলছি,
বোঝাচ্ছি, বিশ্লেষণ করছি—
আর মানুষ তা মন দিয়ে শুনছে!and whatever I have earned and earning is based on Metallurgy.
সেই মুহূর্তে মনে হয়—
এ কি সত্যিই সেই মানুষ,
যে একসময় Metal-e-Allergy বলে মজা করতো?
আজ যখন আমি নিজের জীবনের দিকে ফিরে তাকাই—
past, present—
একটাই সত্যি কথা মনে পড়ে যায়…
👉 “আমরা যা চাই, সব সময় তা হয় না…
কিন্তু ঈশ্বর যা চেয়েছেন… তা কখনো ভুল হয় না।”
হয়তো কলেজ জীবনে আমরা সবাই যেমন খামখেয়ালি ইচ্ছে করতাম,
আমিও করতাম…
আমাদের খুলি বাবার কাছে গিয়ে কতবার মন থেকে বলেছি—
বাবা, আমায় বড় Metallurgist বানিয়ে দাও।

তখন জানতাম না—
খুলি বাবা সেই প্রার্থনাটা সত্যিই শুনছেন…
কিন্তু নিজের মতো করে।
হয়তো আমার জীবনের প্রতিটি বাঁক, প্রতিটি ব্যর্থতা,
প্রতিটি ভুল রাস্তা—
সবটাই ছিল তাঁর পরিকল্পনা।
তিনি যা চান,
তা আমাদের দিয়েই করিয়ে নেন।
আমরা ভাবি আমরা নিজের পথে হাঁটছি,
আসলে আমরা হাঁটছি তাঁর আঁকা পথেই।
আজ আমি দৃঢ় বিশ্বাসে বলি—
যদি আপনি আপনার ভিতরের Calling শুনতে পারেন,
ঈশ্বর আপনাকে ঠিক পথে নিয়ে যাবেন—
যেভাবেই হোক,
যেখান থেকেই হোক।
কারণ তাঁর লেখা কাহিনি—
কখনো ভুল হয় না।
🙌 জয় খুলিবাবার জয়! 💥💀🔥