Corporate Daduji

A Corporate Daduji’s Creation

A Tribute to Ayan De(Onion)

পেঁয়াজের কলি


প্রিয় বন্ধুরা,

আজ আমি তোমাদের সঙ্গে আমাদের BE College Shibpur-এর এক অসাধারণ ছেলের এক অনন্য অভিজ্ঞতার গল্প শেয়ার করব।

সে ছিল আমার batchmate, আমার hostel mate,আমার কবিতা লেখার গুরু—আরও কত কিছু…

কিন্তু আজ আমি কথা বলব সেই ছেলেটাকে ঘিরে, যার থেকে আমি জীবনের এক মূল্যবান পাঠ শিখেছি…
যে শিক্ষা আমি পরবর্তী জীবনে নিজের উপর প্রয়োগও করেছি। 💡

আজ সেই কৃতজ্ঞতা থেকেই মনে হল—
ওর গল্প, ওর learning, ওর জীবনের অনুপ্রেরণাদায়ক মুহূর্তগুলো
শুধু নিজের মধ্যে আটকে না রেখে, তোমাদের সঙ্গেও share করি।

কারণ, হতে পারে, এই গল্প থেকে তোমরাও কিছু শিখে নিতে পারো,
বা হয়তো অনুপ্রাণিত হতে পারো,
যেমন আমি হয়েছিলাম…

✨ চলো, তাহলে শুরু করা যাক!

👦 ছেলেটির নাম – Ayan De
🏡 বাড়ি – Coach Bihar Zila
🏫 কলেজ – B.E. College, Dept: IT
🏢 Hostel No – 9
📅 Year – 1st Year
🚪 Room No – 208
📍ঠিক আমার Room No 212-এর একদম opposite।

এইটুকুই ছিল পরিচয়… কিন্তু গল্পটা আসলেই শুরু হবে এখন!

🎬 এবার চলুন, ফিরে যাই সেই সময়ের গল্পে…

বহু বছর আগে,

২০০১ সালের BE College — অন্য এক দুনিয়া … 🏛️🕰️


মোবাইল তখনও মানুষের হাতে আসেনি।

💻 Computer Desktop, Laptop, আর Internet— তখন শুধু স্বপ্নের মতো… আমাদের ধরা-ছোঁয়ার বাইরেই ছিল।

⏳ তাই সবার হাতে ছিল অফুরন্ত Time, কিন্তু Resources?— খুবই সীমিত।
তবুও কি আনন্দে ঘাটতি ছিল? একেবারেই না! ❤️
ইঞ্জিনিয়ারিং-এর Intelligent ছেলেরা তখনও ঠিক Way খুঁজে নিত, আর সেই সীমিত জিনিস দিয়ে তৈরি করত Unlimited Fun!


🎉🏨 “হোস্টেলে GF (Grand Fiest)-এর আগমনী হাওয়া বইলেই… হোস্টেলের ভেতর গোপনে জন্ম নিত এক ‘Special Task Force’
🎯 Mission? সবার কাছ থেকে চাঁদা তোলা 💰… তারপর দৌড়ে যাওয়া কোলে মার্কেটে মন্ত্রী’র দোকানে— সেখান থেকে VCR,CD player 📼 ভাড়া আনা!

🌌 আর রাত নামলেই… হোস্টেলের ছাদে, TV রুমে… হই-হুল্লোড়ে শুরু হত Movie-er মহোৎসব! 🎬✨
হাসি, হাততালি, সিটি— যেন পুরো hostel তখন একটাই বড় পরিবার! ❤️🏠


আমাদের কলেজে একটা খুব স্পেশাল ট্র্যাডিশন ছিল—
একটা নিয়ম, আমরা বলতাম—B.F. after G.F.
অর্থাৎ Grand Fiest-এর পর Bollywood Festival!
খাওয়া-দাওয়া… আর রাতে সিনেমা দেখে হোস্টেলের ছাদে হইচই আর ভাষার প্রতিযোগিতা ( Outsiders called it as খিস্তির competition) !


এই মহাযজ্ঞ আর আনন্দের আয়োজনের পেছনে… এক নাম সবসময় জ্বলজ্বল করত—IT ডিপার্টমেন্টের অয়ন দে
ছেলেটা শুধু সিনেমা আয়োজনেই নয়…
কলেজের যত রকম দুষ্টুমি—
খুনসুটি, লেগ-পুলিং, বদমায়েশি, শয়তানি—
সবেতেই ওস্তাদ!সবেতেই তার অবাধ বিচরণ।
“সর্বঘাটের কাঁঠালি কলা”


হোস্টেল সুপার বা সিনিয়ররা যখন তদন্তে নামত, তখন এমন সরল, ভোলাভালা মুখ বানাত যে দেখে কারও সাধ্য ছিল না বলার—এই ছেলেটাই মাস্টারমাইন্ড!

বুদ্ধিটা ছিল অসাধারণ—Acting Superb,World class “Pretend to be an idiot”.

যাকে দেখে ভাবছেন… ভাজা মাছটা উল্টে খেতে জানে না,

সে যে কখন মাছ খেয়ে কাঁটা আপনার পেছনে ঢুকিয়ে দেবে, আপনি ধরতেও পারবেন না
এতটা নিরীহ চেহারা ,Professional acting sometime we can’t believe in our eyes.


তাই অবাক হওয়ার কিছু নেই যে, তার ডাকনাম হল পিঁয়াজ—কারণ সব সময়ই পেঁয়াজি করে বেড়ানো, সবখানে থাকা, সবকিছুতে মাথা গলানো—এই ছিল তার স্টাইল।
আর এই নাম আজও তার সঙ্গে জুড়ে আছে।


সময় বদলেছে… মোবাইল, ইন্টারনেট, OTT—সব চলে এসেছে…
কিন্তু ২০০১ সালের সেই সরল, হাসিখুশি দিনগুলো…
আর পেঁয়াজের সেই অবিস্মরণীয় দুষ্টুমিগুলো—
আজও BE College-এর গল্পে বেঁচে আছে…


আমার সাথে পেঁয়াজের সম্পর্ক ছিল… গভীর, আন্তরিক।
শুধু বন্ধু নয়—সে ছিল আমার acting coach!
শেখাত, কীভাবে লোকজনের সামনে মুখটা একদম innocent করে রাখতে হয়—
যাতে সবাই বোকা বনে যায়!


আমার প্রিয় ইংরেজি শব্দ—ASSUME
প্রথম তিন অক্ষর—ASS—মানে গাধা।
তারপর YOU—মানে তুমি…
তারপর ME—মানে আমি।
মানে, কেউ যখন assume করে—
সে নিজেই বোকা হয়ে যায়!🤯

পিঁয়াজ এই ফান্ডাটা একেবারে আয়ত্ত করেছিল…✔️
আর আমাকে শিখিয়েছিলও।
আমরা হোস্টেলে বসে এই নিয়ে কত হেসেছি, কত মজা করেছি!

এই হাসিটা ছিল একদম হৃদয়ের গভীর থেকে আসা—Pure joy.


💼 আমি টানা সাড়ে সাত বছর কাজ করেছি এক জাপানি কোম্পানি – Toyota Tsusho-তে।
সেখানে গিয়ে আবিষ্কার করলাম – জাপানিরাও অয়নের সেই ‘Pretend to be an idiot’ থিওরি অবাক করা দক্ষতায়, আর প্রয়োজনমতো বারবার ব্যবহার করে! 😄

কর্পোরেট লাইফে এই কৌশল দারুণ কাজে লাগে—
কারণ, এটা আপনাকে Opposite Side থেকে সর্বোচ্চ তথ্য আদায় করতে দেয় 📊।

কিন্তু… আজও কেউ এই ট্রিক প্রয়োগ করলেই—
আমার ‘রাডার’ সঙ্গে সঙ্গে সিগন্যাল ধরতে পারে 📡😉

এই জীবনদর্শন আমি কলেজ জীবন থেকেই শিখেছি 🎓—
আর আজও এর দাম বুঝি প্রতিটি মিটিং, প্রতিটি আলোচনায়।


ধন্যবাদ, অয়ন (পিঁয়াজ)❤️
কলেজ জীবনে এত তাড়াতাড়ি আমাকে এমন শক্তিশালী ম্যানেজমেন্ট ট্রেনিং দেওয়ার জন্য 🙏
সত্যি বলছি – আমি নিজেও এই টেকনিক ব্যবহার করেছি জীবনে 😉
মানুষকে বোকা বানাতে… অথবা তাদের কাছ থেকে সেরাটা বের করে আনতে!


📚 আমি চাইলে আরও পাতার পর পাতা লিখতে পারি…
কিন্তু আজ থামছি —আজ এটুকুই।
কারণ —
No. 1 👉 বউ বারন করেছে! 😄🍫
No. 2 👉 আর একটু লিখলেই,
পিঁয়াজ বার খেতে খেতে উল্টে পড়ে যাবে! 😄🍫

হ্যাঁ, আমি জানি ওকে…
তাই থামছি এখানেই… 🌟

— A tribute to Ayan De (“পিঁয়াজ”)
From his batchmate,
Dhol 🖋️”