এক রহস্যময় গল্প-Tiger Naidu Story
বন্ধুরা, আজকের “মাসিমার ঝুলি” থেকে বেরোচ্ছে এমন এক রহস্যময় গল্প, যা তোমার জীবন বদলে দিতে পারে। এই গল্পে লুকিয়ে আছে এক জাদুকরী পদ্ধতির কথা – The Johari Window!
একদিন, মাসিমা তার ঝুলির মধ্য থেকে এক পুরনো কাগজের টুকরো বার করলেন। কাগজটা ছিল চারভাগে ভাগ করা, আর তার ওপর লেখা ছিল চারটি শব্দ – “Open,” “Blind,” “Hidden,” এবং “Unknown”। মাসিমার চোখে তখন এক রহস্যময় হাসি। তিনি বললেন, “জানো তো, এই চারটি বাক্সেই লুকিয়ে আছে আমাদের জীবনের আসল রহস্য!”

মাসিমা বুঝিয়ে দিলেন যে, এই চারটি বাক্স হল আমাদের নিজেকে জানার এবং অন্যদের জানার পদ্ধতির প্রতীক।
মাসিমা বললেন, “এই জানালার চারটি অংশ আমাদের নিজেদের পরিচয় তুলে ধরে –
কিছু অংশ আমরা জানি, অন্যরা জানে।
কিছু অংশ আমরা জানি, কিন্তু অন্যরা জানে না।
আর কিছু অংশ এমনও আছে, যা আমরা জানি না, অথচ অন্যরা স্পষ্ট দেখতে পায়।
এটাই Blind Arena – জীবনের সবচেয়ে রহস্যময় অংশ।”
আজ আমরা জানব এর সবচেয়ে রোমাঞ্চকর অংশটি:
Blind Arena – এমন এক স্থান, যা তুমি নিজে জানো না, কিন্তু অন্যরা তোমার ব্যাপারে জানে।
শুনে রক্তে যেন একটা উত্তেজনা বয়ে গেল! এমন কী আছে আমার মধ্যে, যা আমি নিজেই জানি না? আর অন্যরা জানে?
শুনে কেমন লাগছে?
তাহলে, এবার তোমাদের নিয়ে যাব এক মজার গল্পের জগতে। এই গল্পটি তোমার Blind Arena-র ধারণাকে এমনভাবে পরিষ্কার করবে, যা তুমি জীবনে কখনও ভুলবে না।
“Tiger Naidu”-ররহস্যময়গল্প
এই ঘটনা ঘটেছিল বেঙ্গালুরুতে, আমার পুরোনো অফিসে।
আমার এক সহকর্মী ছিলেন, যাকে সবাই “Tiger Naidu” বলে ডাকতাম।
আমি খুবই কৌতূহলী ছিলাম – কেন তাকে “Tiger” বলা হয়? এর পেছনের গল্প কী?
যখনই জিজ্ঞেস করতাম, সবাই রহস্যময় হাসি হেসে বলত, “একদিনতুমিবুঝতেপারবে।”
“আমি যখন নাইডুকে ‘Tiger Naidu’ বলে ডাকতাম, তখন সে ভীষণ রেগে যেত। চোখ-মুখ লাল করে কেমন যেন কটমট করে তাকাত, আর রেগে রেগে কত কথাই না বলত! শেষে, রাগে ফুঁসতে ফুঁসতে বেরিয়ে যেত।
এভাবে দিনের পর দিন কেটে যাচ্ছিল। অবশেষে, একদিন তার ঘনিষ্ঠ বন্ধুরা সত্যিটা বলল।
Tiger Naidu গল্পটা ছিল এমন:
একদিন আমাদের অফিসের পুরো দল মিলে গেল জঙ্গলসাফারিতে।
সবার মধ্যেই উত্তেজনা ছিল, অ্যাডভেঞ্চারের জন্য আমরা সবাই প্রস্তুত।
মি. নাইডু, খুব আত্মবিশ্বাসী ভঙ্গিতে, ড্রাইভারের পাশে সামনের সিটে বসলেন।
ঘন জঙ্গলে গাড়ি চলতে লাগল। চারদিকে নীরবতা, শুধু পাখির ডাক আর পাতার মর্মর শব্দ।
সবাই জানালা বন্ধ করে বসেছিল – সুরক্ষার জন্য, বুঝতেই পারছ।
কিন্তু Tiger Naidu বললেন,
“আমি জানালা বন্ধ করব না।”

এরপর যা হল…
হঠাৎ, এক TIGER সামনে চলে এল। হ্যাঁ, সত্যিকারের বাঘ, গাড়ির একদম কাছে।গাড়ির ভেতর সবাই নিঃশ্বাস বন্ধ করে বসে ছিল।
বাঘ ধীরে ধীরে গাড়ির দিকে এগিয়ে এল, একদম মি. নাইডুর জানালার সামনে।
তারপর বাঘটি গর্জন করে বলল, “হালুম!”

এরপর কী হল জানো?
Tiger Naidu জ্ঞান হারিয়ে ফেললেন!
আর মজার ব্যাপার হল, বাঘটিওজ্ঞানহারাল!
কেন?
এবার বলো, নাইডুকেনজ্ঞানহারাল?
সহজ! সে ভয়ে জ্ঞান হারিয়েছিল।
কিন্তু প্রশ্ন হল, বাঘকেনজ্ঞানহারাল?
এটাই গল্পের টুইস্ট।
যখন বাঘ গর্জন করল, নাইডু ভয়ে চিৎকার করে মুখ খুলে ফেলল।
আর তার মুখ থেকে বের হল এক তীব্র দুর্গন্ধ।
গন্ধ এতটাই খারাপ ছিল যে, বাঘটি তা সহ্য করতে না পেরে জ্ঞান হারিয়ে ফেলল!
Blind Arena-রসাথেযোগসূত্র
Jokes apart ,এবার আসি Johari Window-র Blind Arena অংশে।
মি. নাইডু জানতেন না যে তার মুখ থেকে এমন দুর্গন্ধ বের হয়। তিনি একদম অজানা ছিলেন।
কিন্তু তার সহকর্মীরা এটা জানত।
এটাই Blind Arena – তোমারসম্পর্কেএমনকিছুযাতুমিজানোনা, কিন্তুঅন্যরাজানে।

জীবনেরশিক্ষা
এটা ভেবে দেখো।
আমাদের জীবনে কতবার এমন হয়েছে, যখন আমরা নিজের খারাপ দিকগুলো সম্পর্কে একদম অজানা ছিলাম, কিন্তু অন্যরা সেটা বুঝে গেছে।
এটা শুধু খারাপ অভ্যাস নয়, এটা এমন গোপনপ্রতিভাবাশক্তিও হতে পারে, যা তুমি নিজে জানো না, কিন্তু অন্যরা স্পষ্টভাবে দেখে।
বন্ধুরা, এই গল্প আমাদের শেখায় যে, অনেক সময় আমরা অন্যের Blind Arena-র কথা না বুঝেই কিছু বলি বা করি। তাই আমাদের উচিত, অন্যের অনুভূতিকে বোঝার চেষ্টা করা এবং ফিডব্যাক গ্রহণ করে নিজেদেরও উন্নত করা।“
“তোমার জীবনে এমন কোনো ‘Blind Arena’ আছে কি? খুঁজে দেখো, কারণ জীবনের রহস্য সেখানেই লুকিয়ে থাকে!” 😊

তাহলে সমাধান কী?
খুব সহজ – অন্যদেরথেকেফিডব্যাকচাও। তাদের কথা শুনো।
তুমি জানো না, তোমার Blind Arena আবিষ্কার হয়তো তোমার জীবনকে বদলে দিতে পারে!
তাহলে, তোমার “Tiger Naidu” মুহূর্ত কী?
আজই তোমার Johari Window খুলে ফেলো এবং নিজের অজানা শক্তিকে আবিষ্কার করো।
“তোমার জীবনে এমন কোনো ‘Blind Arena’ আছে কি? খুঁজে দেখো, কারণ জীবনের রহস্য সেখানেই লুকিয়ে থাকে!” 😊
