Sada Safal Hanuman-Episode 16-Topic : Doubt.Part 1
বন্ধুরা…
রামায়ণ আমরা সবাই কমবেশি 📚 পড়েছি, 🎥 দেখেছি, 🎧 শুনেছি।
তবে…❓ একটা কথা কখনও মন থেকে ভেবেছেন কি?
🧠 জ্ঞান তো আজকের যুগে সবার হাতের মুঠোয়…
💻 One click — Google খুললেই সব উত্তর!
📲 একটা রিল, একটা ভিডিও, একটা কোর্স…
Information – সহজেই পাওয়া যায়।লাখে লাখে!
কিন্তু…
😔 উপলব্ধি? 🌊 Realization?
তা কি এত সহজে আসে?
📖 একটুখানি জানলেই আমরা ভাবি আমরা বুঝে গেছি…
কিন্তু আসল শিক্ষা আসে,
👉 যখন জ্ঞান আর যন্ত্রণা একসাথে মিশে যায়। 💔
📖✨ আজ আমি আপনাদের সামনে
❌ শুধু একটা গল্প নয়…
❗ আজ আমি রাখতে চলেছি একটা প্রশ্ন – এক ভয়ংকর সোজা কিন্তু গভীর প্রশ্ন।
👉 একটা এমন প্রশ্ন,
🔍 যেটা হয়তো আপনি কোনোদিনও ভাবেননি…
🙇♂️ কিন্তু ঠিক এই প্রশ্নটাই বদলে দিতে পারে আপনার জীবনের বাকি গল্পটা!
🌀 একটা এমন প্রশ্ন,
যেটা মাথা নয়…
🔥 সরাসরি হৃদয়কে নাড়া দেবে।
🎯 This is not just a question – this could be your awakening!
👉 প্রশ্নটা এমন—
অঙ্গদ ছিলেন বলশালী, বুদ্ধিমান, দক্ষ। হনুমানজির মতোই এক অসাধারণ বীর।
তবুও…
🔥 হনুমান-কে মনে রাখে যুগের পর যুগ, অঙ্গদ-কে নয়! কেন??
🎯 একই শক্তি, একই যোগ্যতা!
তবে ইতিহাসের আলো শুধুই হনুমানজী-র ওপর কেন? ইতিহাস কেন তাঁকে হনুমানজির মতো মনে রাখেনি?
😔 কেন আমাদের ভক্তি ও কৃতজ্ঞতার আলোটা শুধু হনুমানের ওপর পড়ে, অঙ্গদের ওপর নয়?
আরেকটা প্রশ্ন—
👉 অঙ্গদ তো সমুদ্র পার হতেই পারতেন! তবু কেন প্রথমবার লঙ্কায় পাঠানো হলো হনুমানজিকে, অঙ্গদকে নয়?
🤔 আসুন, একটু গভীরে যাই। কারণ এই প্রশ্নটা শুধু রামায়ণের নয়, আমাদের জীবনেরও প্রশ্ন।
👋 বন্ধুরা…
আজকের ভিডিওটা শুধু বড়দের জন্য নয়,
👦👧 আমার ছোট ছোট বন্ধুরাও যারা গল্প ভালোবাসে—তাদের জন্যও!
হয়তো এখনই তোমার মনে প্রশ্ন জেগেছে—
👉 “হনুমানজিকে তো চিনি… কিন্তু এই অঙ্গদ আবার কে?”
🦁 চলো তাহলে জানি …
🏹 অঙ্গদ ছিলেন বালির পুত্র।
সুগ্রীব ছিলেন তাঁর কাকা।
👑 Banar রাজপরিবারের সন্তান…
🦁 বলশালী, বুদ্ধিমান, অপরাজেয় এক যোদ্ধা।
🩸 তাঁর শরীরে বইছিল সেই বালিরই রক্ত…
সেই বালী —
🔱 যিনি শুধু এক যোদ্ধা নন, এক ভয়ঙ্কর কিংবদন্তি!
🔥 রাবণ!
সমগ্র পৃথিবীর ত্রাস!
লঙ্কার রাজা!
👹 যিনি দেবতাদেরও কাঁপিয়ে তুলেছিলেন!
কিন্তু বন্ধুরা…
😤 বালীর সামনে তাঁরও চলল না!
💪 একদম এক হাতে—না, একটুও বাড়িয়ে বলছি না—
👉 এক হাতে ধরে তাঁকে বগলের নিচে আটকে রেখেছিলেন… পুরো ৬ মাস!
😱 আর তাঁকে ৬ মাস ধরে আটকে রেখেছিলেন — কোনো রাজপ্রাসাদে নয়…
👉 বরং নিজের বগলের মধ্যে!
😳 ভাবুন!
🎯 এটাই ছিল বালীর বল…
🦁 আর সেই বালীরই পুত্র — অঙ্গদ!
👉 যার রক্তে ছিল বালীর গর্জন,
👉 যার বুকে ছিল বালীর আগুন,
👉 যার মনে ছিল বালীর মতোই অহং, শক্তি, সাহস!
🛡️ তাহলে প্রশ্ন জাগে…
এইরকম একজন বীর,
👉 অঙ্গদ,
তাঁকে কেন আমরা ভুলে গেছি?😔 এক কোণায় চাপা পড়ে গেছেন…
😔 কেন ইতিহাস তাঁকে নয়, হনুমানজিকে মনে রেখেছে?
📢 বন্ধুরা…
👉 এই প্রশ্নটা শুধু ইতিহাসের নয়,
🎯 এই প্রশ্নটা আপনার জীবনের আয়নাও বটে!
Let the Story Begins.
🛕 রামায়ণের সেই বিখ্যাত দৃশ্য
📖 যখন সীতা হরণ হয়ে গেলো,
🕊️ এরপর, সীতার খোঁজে বানরসেনা চারদিক ছড়িয়ে পড়ে।
দক্ষিণ দিকে পাঠানো হলো –
হনুমান, অঙ্গদ, Jambavan, নল, নীল সহ এক বিশাল দল।
🔍 অনেক খোঁজাখুঁজির পর তাঁরা এসে পৌঁছালেন —
🌊 মহাসমুদ্রের তীরে!
সেখানে মিলল এক ভয়ানক তথ্য —
🎙️ “সীতামাতা বন্দি লঙ্কায়, রাবণের প্রাসাদে!” 👹
💥 এখন দরকার একজন এমন বীর,
👉 যিনি পার হবেন এই বিশাল সমুদ্র,
👁️🗨️ যাবেন লঙ্কায়, খুঁজে বার করবেন সীতাকে
🤔 প্রশ্ন উঠলো —
“কে যাবে? কে এই অসম্ভব কাজটিকে সম্ভব করবে?”
📯 তখন জাঁববান এগিয়ে গেলেন…
প্রথমেই 🧓 অঙ্গদের দিকে ফিরে বললেন—
🗣️ “বালীপুত্র! তুমি তো তরুণ, বলশালী, বুদ্ধিমান — তুমিই যাও!”
📖 বালকাণ্ডে স্পষ্টভাবে আছে —
“अंगद कहइ जाउँ मैं पारा।
जियँ संसय कछु फिरती बारा॥”“Angad kahae jaaun main paara.
Jiyan sansay kachhu phirati baara.”
👉 অর্থাৎ —
🗣️ “আমি লঙ্কা যেতে পারবো ঠিকই, কিন্তু ফিরে আসতে পারবো কিনা, তা নিয়ে আমার মনে সংশয় আছে…”
😳 কী?!
বালীর মতো এক মহাবীরের পুত্র,
১০০ যোজন পর্যন্ত বিশাল সমুদ্র লাফ দিতে সক্ষম — সেই অঙ্গদ বলছেন “ফিরে আসতে পারবো কিনা জানি না?”
💥 বন্ধুরা!
একজন বানর, যে ১০০ যোজন লাফ দিতে পারে,
তার ফিরে আসা নিয়ে সংশয় কেন?
না, সমস্যা ক্ষমতার নয় —
👉 সমস্যা ছিল বিশ্বাসের!
অঙ্গদের ভিতরে ছিল doubt, hesitation, self-doubt…
আর সেই এক বিন্দু সন্দেহই কেড়ে নিল ইতিহাস গড়ার সুযোগ।
🎯 জাম্বুবান ছিলেন অভিজ্ঞ, শান্ত, কিন্তু ক্ষুরধার এক পর্যবেক্ষক।
তিনি অঙ্গদের মুখে দ্বিধার কথা শুনেই বুঝে গেলেন —
💡 “এই ছেলে রিস্ক নেবে না… এই ছেলে নিজেকে প্রমাণ করতে চায়, কিন্তু নিজেকে সঁপে দিতে চায় না।”
👉 “এ লিডার নয়, এ ফাইটার !”
🌀 ঠিক তখনই জাম্বুবান সেই সুযোগটা তুলে দিলেন — হনুমানের হাতে।
⛰️ সেই হনুমান…
যিনি তখন হতাশ হয়ে এক পাথরের উপর বসে আছেন…
🙏 তাঁর মধ্যে ছিল না কোনো অহংকার,
❌ না কৌশলী ভাষা,
তাঁর ভেতর ছিল কেবল —
🌺 ভক্তি, শ্রদ্ধা, পূর্ণ আত্মসমর্পণ।
🔥 আর ঠিক তখনই জাম্বুবান তাকালেন হনুমানের দিকে — আর গর্জে উঠলেন!
🗣️“বীর! তুমি তো বানর রাজ্যের শ্রেষ্ঠ!”
🔊 “তুমি শাস্ত্রজ্ঞ, বলবান, বুদ্ধিমান — তবুও চুপ কেন?”
🔊 “তুমি রামের সমতুল্য বলের অধিকারী…
তবুও আজ এই মিশনের আগে তোমার মুখে কথা নেই কেন?”
🛕 তারপর তিনি স্মরণ করালেন — হনুমান কে ছিলেন, কোথা থেকে এসেছেন, কী পেয়েছেন!
📜
🌀 “তুমি সেই পবনপুত্র…
যার জন্ম এক তপস্বিনীর তপস্যায়,
যাকে আশীর্বাদ করেছিলেন পবনদেব নিজে!”
🙏 “তোমার জন্মকালে ব্রহ্মা বলেছিলেন —
❌ কোনো অস্ত্র তোমাকে ছুঁতে পারবে না!”
⚡ “ইন্দ্র যখন তোমাকে বজ্রপাত করেন, তুমি আহত হওনি!
বরং ইন্দ্র নিজেই বলেছিলেন — ‘তোমার মৃত্যু হবে শুধুমাত্র তোমার ইচ্ছায়।’”
🔥 “তুমি সেই গরুড়ের সমতুল্য —
যার ডানায় সাগরের নিচ থেকে উঠিয়ে আনা যায় সাপও!”
💪 “তোমার বাহুতে সেই বল আছে…
তোমার গতিতে সেই আগুন আছে…
তোমার অন্তরে সেই ভক্তি আছে,
যা অসম্ভবকেও সম্ভবে বদলে দিতে পারে!”
🦁 “তাই উঠো হনুমান!
ঐ বিশাল সমুদ্র… তুমি এক লাফে পার হয়ে যেতে পারো!”
🎯 “তুমি পারবে, কারণ —
তোমার মনে ‘আমি’ নেই…
তোমার মনে আছে ‘রাম’। 🙏”
📢 এই ছিল জ্যাম্বুবানের বজ্রগর্জন!
এই ছিল সেই অগ্নিস্ফুলিঙ্গ…
যা জাগিয়ে তুলল ঘুমন্ত আগ্নেয়গিরি হনুমানকে!
🔥 হনুমান তখন ধীরে ধীরে উঠে দাঁড়ালেন…
⚡ শরীর বিশাল হতে থাকলো…Rest is History.
📜 বন্ধুরা…
👉 এই গল্প রামায়ণের বটে, কিন্তু প্রতিচ্ছবি আমাদের মধ্যেই আছে!
😓 আমরা অনেকেই নিজের শক্তিকে ভুলে বসে থাকি…
❗ শুধু দরকার একজন জ্যাম্বুবান…
যিনি আমাদের মনে করিয়ে দেন —
“তুই পারিস!”
🛑 কিন্তু বন্ধুরা…
জাস্ট একবার ভাবো!
যদি সেইদিন অঙ্গদ নিজের সংশয় কাটিয়ে বলতেন —
🗣️ “আমি যাব!”
🗣️ “আমি ফিরব!”
🗣️ “আমি সফল হব!”
তাহলে আজ আমরা হয়তো—
📿 Hanuman Chalisa নয়,
🔥 “Angad Chalisa” পড়তাম!
🚩 মন্দিরে উচ্চারিত হতো —
“জয় অঙ্গদ মহাবীর!”
তাঁর নামেই হতো জয়ধ্বনি, পূজা, স্তোত্র…
❌ কিন্তু তা হয়নি! কেন?
👉 শুধুমাত্র একটি কারণে —
💔 সংশয়!
Doubt killed destiny.
🎯 আজও এই একই জিনিস ঘটে কর্পোরেট জগতে…
👨💼 দক্ষতা আছে,
🎓 ট্যালেন্ট আছে,
💼 স্কিল আছে,
তবুও…
❌ “আমি পারবো না!”
❌ “এটা আমার পক্ষে কঠিন!”
❌ “যদি ব্যর্থ হই…?”
⚠️ এই একফোঁটা doubt history গড়ার সুযোগ কেড়ে নেয়।
যেখানে একজন ordinary employee হয়ে উঠতে পারত একজন extraordinary leader —
সেখানেই সে হারিয়ে যায় mediocrity-র ভিড়ে।
🧘♂️ বন্ধুরা…
এখন প্রশ্নটা তোমার কাছে —
👉 তুমি কি অঙ্গদের মতো নিজেকে নিয়ে সন্দেহ করবে?
😓 তুমি কি ফিরে আসার গ্যারান্টি না পেয়ে নিজের সামর্থ্য থামিয়ে দেবে?
না কি…
🔥 তুমি হবে হনুমানের মতো —
🦁 নির্ভীক, আত্মবিশ্বাসে পূর্ণ, আর নিজেকে বলবে —
💥 “আমি যাবো, আমি পারবো, আমি করবো!”
📢 এই ভিডিও যদি তোমার ভিতরের অঙ্গদকে জাগিয়ে তোলে,
তাহলে Like করো ❤️, Share করো ↗️
আর Subscribe করে নাও —
Corporate Daaduji-র এমন আরও 🔥 Energy-driven এবং 💡 Mind-changing ভিডিওর জন্য!