বন্ধুরা…
আরেকটা শীতের সকাল, চা-বিস্কুট হাতে বসে পড়ো।
আজ শেষ করে দিই সেই ২০০৫-এর কিংবদন্তি গল্পটা… যেটা আজও রিচ হলের দেওয়ালে দেওয়ালে ফিসফিস করে।
🏟️ ২০০৫ ইন্টার-হোস্টেল ফুটবল ফাইনাল RICH 🛡️ বনাম WOLF 🐺
বন্ধুরা… আরেকটা নাম না বললে গল্পটা অসম্পূর্ণ থেকে যায় ❤️
যে ছেলেটাকে আমরা সবাই মজা করে “ঘনু” বলে ডাকতাম… ভাস্কর বোস। হাসি-ঠাট্টার পাত্র।
ফুটবল তার প্রথম প্রেম ছিল না।
সে বরং ক্রিকেটেই বেশি স্বচ্ছন্দ, ক্রিকেটে তার ঝলক বেশি।
কিন্তু একটা জিনিস কেউ লক্ষ্য করেনি— ঘনুর Consistency।
শীত, গ্রীষ্ম, বর্ষা—
মৌসুম যাই হোক না কেন,
প্রতিদিন বিকেল ৪:৩০-এ
সে ওভাল মাঠে হাজির থাকতই।ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের প্রথম দিন থেকে।
বন্ধুরা,room mate ,sobai ঘুমিয়ে—
কিন্তু ঘনু?
⌛ প্রতিদিন ঠিক ৪:৩০ PM-এ সে ওভাল মাঠে হাজির থাকতই।
📍 Consistency কখনো চিৎকার করে না… কিন্তু চুপচাপ জিতে যায়।
আর ঠিক সেই চুপচাপ পরিশ্রমই ফল দিল ২০০৫-এর ফাইনালে।
⚽ সে করল ম্যাচের একমাত্র গোল (from Rich Side,the one & only Goal)।
গ্যালারি ফেটে পড়ল চিৎকারে,
Rich-র ছেলেরা ঝাঁপিয়ে গেল তার ওপর—
আর যাকে সবাই মজা করে ডাকত “ঘনু”,
সেই ছেলেটাই সেদিন হয়ে উঠল Final Hero 🏆🔥
Anyhow after ৯০ মিনিট শেষ। স্কোরবোর্ডে ১-১। পুরো ওভালে যেন বিদ্যুৎ খেলছে।
হাজার হাজার গলা একসঙ্গে চিৎকার করছে— “পেনাল্টি! পেনাল্টি!”
কিন্তু এই হাই-টেনশন ম্যাচের ফাইনাল মুহূর্তে আমি, মানে রিচ হলের গোলকিপার DhOliver Kahn,😅 তখন গ্লাভস হাতে দাঁড়িয়ে আছি।কিন্তু মনের ভিতরটা ভয় আর সন্দেহে ভরে গিয়েছিলাম । আমার আত্মবিশ্বাস টলে গিয়েছিল before pentaly shootout। কারণ ছিল আমার নিজের রিফ্লেক্স, গতি, আর নির্ভুলতা নিয়ে আমার নিজেরই সন্দেহ। আমি ভাবছিলাম, এই চাপের মুহূর্তে আমি কি পারব?মাথায় শুধু একটা কথা— “আজ যদি হারি, তাহলে রিচ-এর স্বপ্ন শেষ।”
এই মুহূর্তে আমার অবস্থা ছিল রামায়ণের অঙ্গদের মতো। মনে আছে, অঙ্গদ বলেছিল, “আমি হয়তো লঙ্কায় পৌঁছে যাব, কিন্তু ফিরে আসতে পারব কিনা, তা নিয়ে সন্দেহ আছে।” সেই সন্দেহের কারণেই অঙ্গদ লিজেন্ড হতে পারেনি। তার জায়গায় এগিয়ে এসেছিল মহাবীর হনুমান, আর বাকিটা ইতিহাস। হনুমান বাজিমাত করে সবার মনে জায়গা করে নিয়েছিল।
ঠিক সেই মুহূর্তে… একটা চেনা গলা কানের কাছে এলো— “দে গ্লাভসটা দে… আমি Goalkeeping করব।”
ঘুরে তাকাতেই দেখি— ছোলা মুরগি! 😱 হ্যাঁ, সেই ছোলা মুরগি… যাকে আমরা সারাদিন ঠাট্টা করি, যার নাম শুনলেই সবাই হাসে.যে ফুটবল মাঠে আসে মাঝে মাঝে।
আমাকে Confused আর আত্মবিশ্বাসহীন দেখে ছোলা মুরগি নিজেই এগিয়ে এলো। সে হাত বাড়িয়ে গ্লাভস নিয়ে নিল। গোলকিপিংয়ের গ্লাভস হাতে নিয়ে সে বলল, “আমি ফেস করব!” তার চোখে ছিল অদ্ভুত আত্মবিশ্বাস, অটল সংকল্প। সে যেন বলছিল, “আমি একাই সব রুখে দেব!Do or Die.”
কিন্তু অবাক করা বিষয় হলো, ছোলা মুরগি তো রেগুলার ফুটবল প্র্যাকটিস করত না। খেলাধুলোয় তেমন পারদর্শীও ছিল না। আমি তাকে আগে কখনো গোলকিপিং করতে দেখিনি। তবু সেদিন তার মধ্যে কী অলৌকিক শক্তি জেগে উঠেছিল, তা আজও আমার কাছে রহস্য।
সে যাই হোক, ছোলা মুরগি তার কথা রেখেছিল।
Penalty শুরু হলো… একের পর এক শট হচ্ছে।
পেনাল্টি শুরু হলো। প্রথম শট — Goal! দ্বিতীয় শট — সেভ! তৃতীয় শট — Missed.!
আমাদের দলের গায়ে চাপা পড়ছে ভয়।ওভাল তখন পাগল।
এবার আমাদের টার্ন। ৪-৪। সাডেন ডেথ। শেষ কিক। রিচ হলের শেষ আশা।
কে নেবে? সবাই চুপ।কিন্তু তখনই হঠাৎ ছোলা মুরগি এগিয়ে এলো।
সে বলল – 👉 “This is my kick, I will kill Wolf!” ⚡
মাঠে সবার চাহনি হঠাৎ একজায়গায় থেমে গেল – ছোলা মুরগির ওপর।
বল হাতে নিয়ে দাঁড়াল। রান-আপ… এক… দুই… তিন… ঠাাাসসস! 💥
বলটা যেন রকেট! সোজা গোলের উপরের কোনায় ঢুকে গেল!
“GOOOOOOOOOAAAAAALLLLLLLL!!!!” 🏆⚽
পুরো ওভাল ফেটে পড়ল! ছেলেরা একে অপরকে জড়িয়ে কাঁদছে, লাফাচ্ছে, চিৎকার করছে!
Wolf হলের ছেলেরা মাটিতে বসে পড়ল। তাদের ফেয়ারওয়েল পার্টির স্বপ্ন মাটি।
আর ছোলা মুরগি? তাকে কাঁধে তুলে নিল সবাই। যার নামে কাল পর্যন্ত হাসাহাসি হতো, আজ তার নামে হচ্ছে Slogan— “ছোলা মুরগি… ছোলা মুরগি…”
বন্ধুরা, এই গল্পটা শুধু ফুটবলের নয়। এটা সেই সব ছেলে-মেয়েদের গল্প— যাদের নিয়ে হাসাহাসি হয়, যাদের দ্বারা কিছু হবে না বলে উড়িয়ে দেওয়া হয়, কিন্তু তারাই একটা দিন পুরো দুনিয়াকে চুপ করিয়ে দেয়।
Salute to ঘনু 🫡 Salute to ছোলা মুরগি.
Salute সেই সব ছেলে-মেয়েদের, যারা চুপচাপ নিজের কাজ করে যায়, নিজের কাজ দিয়ে লিজেন্ড হয়ে ওঠে।
দুজনেই প্রমাণ করেছিল— লিজেন্ড হওয়ার জন্য Talent লাগে না, শুধু লেগে থাকতে হয় or লাগে বিশ্বাস,লাগে জিদ,পাগলামি ❤️
আর Rich Hall?
সেই ২০০৫-এর পর থেকে আর কখনো পিছনে তাকায়নি।
চ্যাম্পিয়নশিপ এলো একবার নয়, দু’বার নয়—
বারবার… আবার… আবার… আবার। 🏆🏆🏆
আর তারপর থেকে Rich-এর যাত্রা আর কখনও থামেনি।
কিন্তু এই সবকিছুর শুরু?
সেই ২০০৩-এর সেমিফাইনালের Underdog Richters spirit।
এটাই ছিল রিচ-এর রূপান্তর।
Rich হয়ে উঠল BE College-এর Powerhouse,
একটা স্বপ্ন, একটা আকর্ষণ—
যেখানে ঢোকার লক্ষ্য হয়ে গেল সবার.
“BEings Must Go RICH!”
কেমন লাগলো বন্ধুরা?
👇 কমেন্টে লিখে জানাও—
তোমাদের কলেজে এমন কোনো Underdog থেকে Legend হয়ে ওঠার গল্প আছে কি?
আমরা শুনতে চাই।
আমরা বলতে চাই—
আরও Real গল্প… আরও লিজেন্ড Story! 🔥💛